25 C
আবহাওয়া
১:৩৭ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’য় রূপ নিলো

গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’য় রূপ নিলো

গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’য় রূপ নিলো

বিএনএ,ডেস্ক: বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’য় পরিণত হয়েছে ।বুধবার (২৩ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে  (১৬.২° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.০° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’য় পরিণত হয়েছে। এটি বুধবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত দৃশ্যমান মেঘের চিত্ত্রে দেখা যাচ্ছে গভীর নিম্নচাপটি সংগঠিত হয়ে পুরোপুরি ঘূর্ণিঝড়ের আকৃতি ধারণ করেছে। আমার বিশ্লেষণ অভিজ্ঞতার আলোকে, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ডানার কারণে যে ঘূর্ণ্যমান মেঘের সৃষ্টি হচ্ছে তা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার জেলাগুলো পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ডানার বহিঃস্থ মেঘের কারণে আজ দিনের বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে বৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে আজ সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে। ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকূলে আঘাত করলেও এর প্রভাব ভালোভাবে পড়বে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোর ওপরে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট ঘন মেঘ ও বৃষ্টি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভারতের ত্রিপুরা, মনিপুর রাজ্য ও মিয়ানমারের দিকে অগ্রসর হবে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাত ১টায় তিন নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গভীর নিম্নচাপটি মঙ্গলবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপের সময় কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সাগর উত্তাল রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এই অবস্থায় দেশের ৪ সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নৌকাগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।

বিএনএনিউজ/ আরএস/শাম্মী

Loading


শিরোনাম বিএনএ