বিএনএ, ফেনী:ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য ও সুলতান আহাম্মেদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজুমদার বলেছেন, ফুলগাজীতে অর্ধ কোটি টাকা স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করা হবে । সুলতান আহাম্মেদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ফেনী ছাগলনাইয়া চট্টগ্রাম সহ সারা দেশে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। দেশ আরো এগিয়ে যাবে।
শনিবার(২৩ সেপ্টেম্বর) সুলতান আহাম্মেদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ফুলগাজী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চক্ষুশিবিরের আয়োজন করা হয়। ।লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগং ডায়মন্ড সিটির পরিচালনায় লায়ন্স দাতব্য চক্ষু হাসপাতালের ডাক্তাররা এখানে বিনামূল্যে রোগী দেখেন।
এ ছাড়া ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সংস্থার মাধ্যমে বাত ব্যথা প্রতিবন্ধী রোগীদের চিকিৎসা সেবাও একই সময়ে প্রদান করা হয়।
মিজানুর রহমান মজুমদার তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষুসেবা প্রদানের কাজটি দীর্ঘদিন ধরেই বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ সেবা কার্যক্রম নিয়মিত চলছে ফুলগাজী, পরশুরাম এবং ছাগলনাইয়াতে।চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগী ও স্বজনদের থাকা খাওয়ার জন্য আমাদের তত্ত্বাবধানে অতিথিশালা নামে একটি ভবন রয়েছে নগরীর প্রবর্তক গলিতে।
তিনি বলেন, আজকে এখানে যাদের চশমা প্রয়োজন, তাদের চশমা দেওয়া হবে। যাদের চোখে সার্জারি প্রয়োজন, তাদের চট্টগ্রামে নেওয়া হবে। সুবর্ণ নাগরিকদের ক্ষেত্রেও একই সেবা নিশ্চিত করা হবে এবং হুইল চেয়ার বিতরণ করা হবে।
তাদের নিরবিচ্ছিন্ন চিকিৎসায় ফেনীতে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার স্থাপনের কার্যক্রম ইতোমধ্যে হাতে নেওয়া হয়েছে।
আমি মনে করি, সরকারি সেবাগুলোর পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সকলকে সামর্থ অনুযায়ী অংশগ্রহণ করতে হবে।শুধুমাত্র ফুলগাজী উপজেলার জন্য এ খাতে অর্ধকোটি টাকার বাজেট আমরা হাতে নিয়েছি।
এই চক্ষুশিবির অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মজুমদার,
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিএমজেএফ জেলা গভর্নর লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩১৫ বি ৪ জনাব লায়ন মো:মহিউদ্দিন চৌধুরী, আনন্দপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার প্রমুখ ।
দিনব্যাপী প্রায় ৭ শতাধিক লোককে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। চোখের চিকিৎসা দেয়া হয় ২৯৭ জনকে,২০৫জনকে চশমা দেয়া হয়। থেরাপি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী রোগের সেবা দেয়া হয় ৯৫জন রোগীকে।
বিএনএ/ এবিএম নিজাম উদ্দিন,ওজি/এইচ এ মুন্নী