25 C
আবহাওয়া
৪:৫৩ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » তিন শতাধিক মানুষের হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ : অবশেষে ধরা

তিন শতাধিক মানুষের হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ : অবশেষে ধরা

Remove term: প্রতারক জাকির চেয়ারম্যান প্রতারক জাকির চেয়ারম্যান

বিএনএ, ঢাকা : মাসে ৭০ হাজার টাকা লাভের স্বপ্ন দেখিয়ে গাড়ি কেনার জন্য প্রলুব্ধ করতেন। তার কাছ থেকে গাড়ি নিলে নিজেই রাখতেন মাসে মাসে টাকা দিবেন বলে। প্রথম দুই-এক মাস প্রতিশ্রুত লাভের টাকা দিয়ে আস্থা অর্জন করলেও পরে আর টাকা দিতেন না। বিনিয়োগ করা অন্তত তিনশ’ মানুষকে পথে বসিয়ে দিয়েছেন জাকির চেয়ারম্যান নামে এক প্রতারক। তার প্রতারণার তালিকায় রয়েছে পুলিশ-প্রশাসনের নানা স্তরের কর্মকর্তা, বাদ যায়নি সংসদ সদস্যরাও।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোড ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান হারুন-অর-রশিদ বলেন, রেন্ট-এ-কারের ব্যবসার আড়ালে ভয়ংকর প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাকির। তিনি দুই তিন প্রক্রিয়ায় প্রতারণা করে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্বল্পমূল্যে গাড়ি ব্যবসার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। কাউকে আবার গাড়ি রেন্ট-এ-কারে ভাড়া দেওয়ার কথা বলে মাসে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে ভুয়া রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে কারও টাকা, কারও গাড়ি হাতিয়ে নেন তিনি।’

তিনি বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর ডিএমপির মুগদা থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়। পরে ডিবি তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও জোনাল টিম মামলাটির ছায়া-তদন্ত শুরু করে। তদন্তকালে জানা যায়, জাকির চেয়ারম্যান বন্দর থেকে স্বল্প দামে গাড়ি কিনে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা নেয়। এছাড়া, বন্দর থেকে কেনা গাড়ি রেন্ট-এ কারের মাধ্যমে মাসিক ভাড়ায় পরিচালনা করার জন্যও  চুক্তি করে।

একই রেজিস্ট্রেশন নাম্বার সম্বলিত গাড়ি একাধিক জাল দলিলের মাধ্যমে বিক্রয় করতেন জাকির। আসলে একই গাড়ি একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে ভুয়া কাগজপত্রে চুক্তি করে রেন্ট-এ কারে গাড়ি দেওয়ার কথা বলতেন তিনি।

আবার কোনো ক্রেতাকে শুধু ইঞ্জিন নাম্বার দিয়ে মাসিক কিস্তি পরিশোধের ভিত্তিতে কিছুদিন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধ করতেন। পরবর্তীতে কিস্তি দেওয়া বন্ধ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করতেন জাকির। পূর্বের বিক্রি করা গাড়ি স্বল্প মূল্যে মালিকানা হস্তান্তরের লোভ দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে হাতিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।

হারুন-অর-রশিদ বলেন, গত কয়েক দিনে ডিবি অফিসে দুই শতাধিক ভুক্তভোগী ভিড় করেছেন। আমরা তদন্ত করতে দিয়ে জানতে পারলাম, শুধু মুন্সিগঞ্জের একটি গ্রাম থেকেই দেড়শ’ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক জাকির।

প্রতারণার টাকা দিয়ে তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও করেছেন; তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় প্রতারণার মামলা রয়েছে।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ