বিএনএ বিশ্কডেস্ক : আফগানিস্তানের পারওয়ান প্রদেশের বিখ্যাত বাগরাম বিমানঘাঁটিতেই গুয়ানতো নামো বে বা বাগরাম কারাগারের অবস্থান। প্রথমে অস্থায়ীভাবে এই কারাগার নির্মাণ করা হয়। তালেবানের হাতে কাবুল পতনের আগ পর্যন্ত এখানেই আটকে রাখা হয়েছিল পাঁচ হাজারের বেশি বন্দিকে।
ওই কারাগারে নির্যাতনের বিভিন্ন ভয়াবহ বর্ণনা দিয়েছেন তালেবান এক সদস্য হামজা।তিনি বলেন, ইলেকট্রিক শক ছাড়াও বন্দিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হতো । ঘুমন্ত বন্দিদের প্রয়োগ করা হতো পানি আর টিয়ার গ্যাস। বন্দিকে মাসের পর মাস ধরে আটকে রাখা হতো নির্জন অন্ধকার, জানলাবিহীন সেলে। ওই সেলে দিনের বেলা কোনো আলোই প্রবেশ করত না।
বন্দিদের ওপর যৌন নির্যাতনও চালাতো হতো বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি বন্দিদের ওপর এমন যন্ত্র ব্যবহার করা হতো যে অনেকে পুরুষত্বহীনও হয়ে যেতেন। এসব নির্যাতন সাধারণত আফগানরাই চালাতেন। যদিও নির্যাতনের আদেশ সব সময় মার্কিনিরাই দিতেন।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে তালেবানে যোগ দেন হামজা। তার দৃষ্টিতে মার্কিনিরা তাদের ভূমিতে অনুপ্রবেশ করেছে। মার্কিনিদের বিরুদ্ধে লড়াইকে একজন আফগান ও একজন মুসলিম হিসেবে নিজের কর্তব্য মনে করেন হামজা। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি বিভাগে পড়তেন হামজা। ক্লাস শেষে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ নিতেন তিনি।
২০১৭ সালে ধরা পড়ার পর প্রথমে কাবুলের সাফারিয়াদ কারাগারে নেওয়া হয় তাকে। পড়ে আরও দুই বন্দিশালা ঘুরে শেষমেষ বাগরামে ঠাঁই হয় তার। তাকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বিএনএ/ওজি