বিএনএ, ঢাকা: এস আলম গ্রুপের বিদেশে বিনিয়োগ ও অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্তে হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।
আজ বুধবার (২৩ আগস্ট) এস আলম গ্রুপের পক্ষে করা আবদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা দেন। ওই তারিখে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।
আদালতে এস আলমের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসি, আহসানুল করিম ও সাঈদ আহমেদ রাজা।
অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, এস আলমের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন সেটি আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা থাকবে। ওইদিন এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট সিঙ্গাপুরে এস আলম গ্রুপের ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ অনুসন্ধানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এই আদেশ দেন।
সম্প্রতি একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিকে সিঙ্গাপুরে এস আলম গ্রুপের বিনিয়োগ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। প্রতিবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে উল্লিখিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এছাড়া পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে মানি লন্ডারিং রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, অভিযোগ অনুসন্ধানে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং হয়েছে কি না এবং দেশের বাইরে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেয়া হয়েছিলো কিনা তা জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) ২ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
বিএনএ/এমএফ