বিএনএ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশন গঠনে ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দল কার নাম প্রস্তাব করেছে সে তথ্য প্রকাশ না করা কেন অবৈধ নয় তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) এ সংক্রান্ত এক রিট শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। তথ্য কমিশন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
কমিশন গঠনে কে কার নাম প্রস্তাব করেছে সে তথ্য প্রদানযোগ্য নয় উল্লেখ করে গত ৭ জুন এ সিদ্ধান্ত দেয় তথ্য কমিশন। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ চার বিশিষ্ট নাগরিক রিট করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাইফুল আলম চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া জানান, নির্বাচন কমিশন গঠনে অনুসন্ধান কমিটির কাছে প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের পূর্ণ তথ্য চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেন বদিউল আলম মজুমদার। এ বিষয়ে কোনো তথ্য সরবরাহ করার এখতিয়ার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নেই জানিয়ে গত ১ মার্চ অপারগতা প্রকাশ করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এর বিরুদ্ধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করেন সুজন সম্পাদক। নির্ধারিত সময়ে এর জবাব না পেয়ে তথ্য কমিশনে অভিযোগ করেন তিনি।
যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা প্রদানযোগ্য নয় উল্লেখ করে গত ৭ জুন অভিযোগ খারিজ করে দেয় তথ্য কমিশন। তথ্য কমিশনের ৭ জুনের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২৩ জুন রিট করা হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছয় সদস্যের অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি গঠন করা হয়। বিভিন্ন ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দল ৩২২ জনের নাম প্রস্তাব করেন। নামগুলো ১৪ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। তবে পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারা এসব ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করেছেন তা প্রকাশ করা হয়নি।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশের জন্য ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে অনুসন্ধান কমিটি। পরে কমিটি ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেয়। সেই তালিকা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পাঁচ বছরের জন্য তাদের নিয়োগ দেয়া হয়।
বিএনএ/এ আর