জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ এ অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রযোজকদের নিকট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রদানের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক গঠিত জুরি বোর্ডের ১ম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ঢাকার সার্কিট হাউজ রোডে বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয়ে ২২ আগস্ট এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জুরি বোর্ডের সভাপতি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সভায় সভাপতিত্ব করেন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রদানের লক্ষ্যে দরখাস্ত আহ্বান করে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তে আরো বলা হয়, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রযোজকদেরকে নির্ধারিত ছকে আবেদন করতে হবে। আবেদনের ফরম/ছক বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে। আবেদনের ফরম সেন্সর বোর্ডের ওয়েবসাইট www.bfcb.gov.bd থেকে ডাউনলোড করেও ব্যবহার করা যাবে। প্রত্যেক আবেদনপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের কপি ডিভিডি/পেনড্রাইভ-এ জমা দিতে হবে। পুরস্কারের জন্য প্রস্তাবিত শিল্পী/কলাকুশলী/ব্যক্তিদের ৩ কপি পিপি সাইজ ছবিসহ জীবন-বৃত্তান্ত (বাংলা), জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি/পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)/শিশু-শিল্পীদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।
সভায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মোঃ নিজামূল কবীর, চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম, অভিনেত্রী সুজাতা আজিম, অভিনেতা জাহিদ হাসান, সংগীত শিল্পী নকিব খান, সংগীত পরিচালক মকসুদ জামিল মিন্টু, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফফাত ফেরদৌস, চিত্রগ্রাহক পংকজ পালিত এবং বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মুহ. সাইফুল্লাহ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ২৮টি ক্ষেত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হবে। এগুলো হলো-আজীবন সম্মাননা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী কৌতুক চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী, শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক, শ্রেষ্ঠ গায়ক, শ্রেষ্ঠ গায়িকা, শ্রেষ্ঠ গীতিকার, শ্রেষ্ঠ সুরকার, শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার, শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা এবং শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে, কেবল বাংলাদেশি নাগরিকগণ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন; যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে, তবে যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্রের বিদেশি শিল্পী এবং কলা-কুশলীগণ পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না; জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিবেচনাযোগ্য চলচ্চিত্রকে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সেন্সর সনদপত্রপ্রাপ্ত এবং বিবেচ্য বছরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত হতে হবে; স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সেগুলোকে বিবেচ্য বছরে সেন্সর সনদপত্রপ্রাপ্ত হতে হবে।