31 C
আবহাওয়া
২:২১ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মিতু হত্যা মামলার নথি আদালতে রাখার নির্দেশ

মিতু হত্যা মামলার নথি আদালতে রাখার নির্দেশ

মিতু হত্যা

বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার সব নথি আদালতের হেফাজতে সংরক্ষণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব নথিপত্র বিচার বিভাগের হেফাজতের থাকার আবেদন করেছেন মামলার বাদি স্বামী থেকে আসামি বনে যাওয়া সাবেক এ পুলিশ সুপার।

সোমবার (২৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাবুলের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন,  পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলাটি নিষ্পত্তি করেছে। একই ঘটনায় আরেকটি মামলা দায়েরের পর নতুনভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাই আগের মামলারনথিপত্র জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তা মঞ্জুর করে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের হেফাজতে রাখার আদেশ দেন। এখন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট যাকে কাস্টডিয়ান নির্ধারণ করবেন, তার অধীনে ট্রাঙ্কে সিলগালা করা অবস্থায় এসব নথিপত্রগুলো রাখা হবে।

উল্লেখ, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। এরপর মামলার তদন্তে গতি আসে। ১৫ মাস পর গত ১১ মে বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই। তবে এর আগেই ঘটনার সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন তদন্তসংশ্লিষ্টরা। পরদিন আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয় বাবুল আক্তারের মামলার।

এরপর মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে নতুনভাবে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আরও ৭ জন আসামি আছেন। এরা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসা (৪০), এহতেশামুল হক ওরফে হানিফুল হক ওরফে ভোলাইয়া (৪১), মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম (২৭), মো. আনোয়ার হোসেন (২৮), মো. খায়রুল ইসলম ওরফে কালু (২৮), সাইদুল ইসলাম সিকদার (৪৫) ও শাহজাহান মিয়া (২৮)। এই মামলাও তদন্ত করছে পিবিআই। ২৯ মে থেকে বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে আছেন।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ