28 C
আবহাওয়া
৭:১৪ পূর্বাহ্ণ - জুন ১৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-১৩২ (টাঙ্গাইল-৩)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-১৩২ (টাঙ্গাইল-৩)


বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিকনির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৫ম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে টাঙ্গাইল-৩ আসনের হালচাল।

YouTube player

টাঙ্গাইল-৩ আসন 

টাঙ্গাইল-৩ সংসদীয় আসনটি ঘাটাইল উপজেলা নিয়ে গঠিত। জেলার উত্তরে অবস্থিত এই আসনটি সবচেয়ে বড়। এ আসনটি জাতীয় সংসদের ১৩২তম আসন।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির লুৎফর রহমান খান আজাদ বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯ শত ৭৬ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৭শত ৬৯ জন। নির্বাচনে বিএনপির লুৎফর রহমান খান আজাদ বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৭১ হাজার ১ শত ৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের সামশুর রহমান খান। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৪৭ হাজার ১ শত ৪১ ভোট।

৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিএনপির লুৎফর রহমান খান আজাদকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ভোটারবিহীন এই নির্বাচনে বিএনপির লুৎফর রহমান খান আজাদকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন:বিএনপির লুৎফর রহমান খান আজাদ বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯ শত ৫১ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮ শত ৬৫ জন। নির্বাচনে বিএনপির লুৎফর রহমান খান আজাদ বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৭৩ হাজার ৮শত ১৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের সামশুর রহমান খান। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৬৩ হাজার ৫ শত ৩৮ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির লুৎফর রহমান খান আজাদ বিজয়ী হন

২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৪৫ হাজার ১ শত ৭৮ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৯ শত ৯৭ জন। নির্বাচনে বিএনপির লুৎফর রহমান খান আজাদ বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৯৪ হাজার ৪ শত ২০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের সামশুর রহমান খান। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৮৮ হাজার ৭ শত ২৫ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের ডাক্তার মতিউর রহমান বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৬০ হাজার ৪ শত ৭৭ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৩০ হাজার ৪ শত ৭২ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ডাক্তার মতিউর রহমান বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৪০ হাজার ৭শত ৪৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির লুৎফর রহমান খান আজাদ। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৮৩ হাজার ৭৬ ভোট।

ডাক্তার মতিউর রহমান ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মারা যাওয়ায় টাঙ্গাইল-৩ আসনটি শূন্য হয়। ওই বছরের ১৮ নভেম্বর শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা শহিদুল ইসলাম লেবু। এই মনোনয়নকে প্রত্যাখ্যান করে নাগরিক কমিটির ব্যানারে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আমানুর রহমান খান রানা। বিএনপি ওই উপ-নির্বাচন বয়কট করে। বিএনপি বিহীন নির্বাচনে আমানুর রহমান খান রানা নৌকার প্রার্থী শহিদুল ইসলাম লেবুকে সহজে পরাজিত করেন।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন:আওয়ামী লীগের আমানুর রাহমান খান রানা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আমানুর রাহমান খান রানা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের আতাউর রহমান খান বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ৫ শত ৪৬ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৬০ হাজার ১শ’ জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের আতাউর রহমান খান, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির লুৎফর রহমান খান আজাদ, ফুলের মালা প্রতীকে তরিকত ফেডারেশনের আবু হানিফ, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির খলিলুর রহমান, আম প্রতীকে ন্যাশন্যাল পিপলস পার্টির এস. এম চাঁন মিয়া, টেলিভিশন প্রতীকে বিএনএফ এর আতাউর রহমান খান ও হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রেজাউল করিম প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আতাউর রহমান খান বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ৪২ হাজার ৪ শত ৩৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির লুৎফর রহমান খান আজাদ। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ৯ হাজার ১ শত ২২ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম সংসদে টানা বিএনপি এবং নবম, দশম ও একাদশ সংসদে টানা আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর টাঙ্গাইল-৩ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, টাঙ্গাইল-৩ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬০.১৯% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৯.৩৬%, বিএনপি ৫৯.৪১%, জাতীয় পাটি ০.৩৩%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৯% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৯.৪১% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪৩.২৬%, বিএনপি ৫০.২৬%, জাতীয় পাটি ৪.৩৪%, জামায়াতে ইসলামী ১.১৮%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৯৬% ভোট পায়।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৮.৭২% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪৫.৯৭%, ৪দলীয় জোট ৪৮.৯২%, জাতীয় পার্টি ১.১৮%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩.৯৩% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৭.৫৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৪৫.৮৮%, ৪দলীয় জোট ৩৬.৪৩%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১৭.৬৯% ভোট পায়।

টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল): এ আসনের, বর্তমান সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়া মনোনয়ন চাইবেন সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম লেবু, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান আজাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের সাবেক উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা লুৎফর রহমান খান আজাদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুর রহমান নাসির, জেলা কৃষক দলের কোষাধ্যক্ষ মাইনুল ইসলাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে আতিকুর রহমান এবং জাতীয় পার্টি থেকে ঘাটাইল উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সুজ্জাত আলী নিজ নিজ দল থেকে মনোনয়ন চাইবেন।

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, টাঙ্গাইল ৩ (ঘাটাইল) আসনটি এক সময় বিএনপির ঘাটি হিসাবে পরিচিত ছিল। এই আসন থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তিনবার বিএনপি মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান খান আজাদ নির্বাচিত হন। সরকারের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে তিনি ঘাটাইল উপজেলার উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছেন। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে দীর্ঘদিন দখলে থাকা আসনটি বিএনপির হাতছাড়া হয়। দীর্ঘ ২১ বছর পর বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মতিউর রহমান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই এমপি নির্বাচিত হন।

২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমানুর রহমান খান রানা দলীয় মনোনয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এ সময় টাঙ্গাইল ও ঘাটাইলে তাদের পরিবারের একচ্ছত্র আধিপত্য তৈরি হয়। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় আমানুর রহমান খান রানা ও তার ভাইদের জড়িত থাকার বিষয়টি পুলিশী তদন্তে বেরিয়ে আসে। সংসদ সদস্য আমানুর রহমানকে ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার করা হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দেয়নি। আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয় তার বাবা সোনালী ব্যাংকের সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক আতাউর রহমান খানকে। তিনি বর্তমানে এই আসনের সংসদ সদস্য।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যাসহ নানা কারণে আওয়ামী লীগের বিভেদ চরমে। ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ এবং মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এই সুযোগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদকে একক প্রার্থী দিয়ে আসনটি পুনরুদ্ধারে মরিয়া বিএনপি।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ১৩২তম সংসদীয় আসন টাঙ্গাইল-৩ আসনে বিএনপি বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

বিএনএ/ শিরীন, রেহানা, ওজি, ওয়াইএইচ

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ