বিএনএ, আনোয়ারা, এনামুল হক নাবিদ : আজ মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে ৬৫ দিনের মৎস্য অবরোধ। করোনাভাইরাস ও ৬৫ দিনের সমুদ্র অবরোধের কারণে কষ্টে জীবনযাপন করছেন সমুদ্র উপকূলীয় জেলেরা। দীর্ঘদিন মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেপল্লিতে চলছে মাছ ধরতে যাওয়ার ব্যাপক প্রস্তুতি। উপকূলের রায়পুর, গহিরার জেলেপল্লিগুলোতে এমন কর্মব্যস্ততা সবচেয়ে বেশি।
এই দীর্ঘ ৬৫ দিন পর বঙ্গোপসাগরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আনোয়ারা উপকূলের সাড়ে ছয়’শ মাছ ধরার নৌকা।
আনোয়ারা উপজেলা মৎস্য অফিস জানায়, উপকূলে ৬০০টি মাছ ধরার নৌকা আছে। এর মধ্যে উঠান মাঝির ঘাটে ২৮০টি,সাত্তার মাঝির ঘাটে ৪৫টি, ফকিরহাটে ১৭০টি,গলাকাটা ঘাটে ৩৫টি, পিচের মাথায় ৩৫টি ও বাছা মাঝির ঘাটে ৪০টি। অন্য নৌকাগুলো পারকি ও জুঁইদণ্ডী এলাকার।
শুক্রবার বিকেলে আনোয়ারা উপকূলে গিয়ে দেখা যায়, অনেকে নৌকায় জাল ওঠানোর কাজ সেরেছেন কয়েকদিন আগে, শেষ প্রস্তুতি হিসেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাশাপাশি ওষুধ কিনে নৌকায় উঠতে ব্যস্ত জেলেরা।
স্থানীয়রা জানান, জেলেরা নৌকা ও জাল মেরামতসহ সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। কিছু ঘাটে নৌকার অসম্পূর্ণ কাজ ছিলো সেগুলো শেষ করেছে বিকালের মধ্যে ।মাছ ধরার অপেক্ষায় রয়েছেন উপকূলের প্রায় দশ হাজারের বেশি জেলে। তাঁদের সব রকম প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে। নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে জেলেদের জালে যে হারে ইলিশ ধরা পড়েছিল, এখন তার চেয়ে বেশি ইলিশ জালে আটকা পড়তে পারে বলে আশা করছেন তারা।
ফকির হাটের ব্যবসায়ী আবদুর আজিজ বলেন, নৌকাগুলোর জেলেরা একেকটি ট্রিপের জন্য ২৫ থেকে ৪৮ হাজার টাকার মালামাল কিনেছেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে ভালো মাছ পাওয়া নিয়ে আশাবাদী সবাই।
উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা রাশিদুল হক বলেন, ২৩ জুলাই রাতে নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে । আনোয়ারা উপকূলে ১০ হাজার জেলে সাগরে মাছ ধরার অপেক্ষায় আছেন। নিষেধাজ্ঞা শেষে নৌকাগুলো সাগরে চলে যাবে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।