বিএনএ, ঝিনাইদহ: বিদ্যুৎ চালু থাকাবস্থায় ট্রান্সফরমার মেরামত করতে গিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আব্দুল খালেক নামে এক লাইনম্যানের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন সোহেল রানা নামে আরেক লাইনম্যান। বারবার কন্ট্রোলরুমে ফোন করে লাইন বন্ধ রাখার জন্য বলা হলেও তারা কেন বন্ধ করেনি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রোববার (২৩ জুন) দুপুরে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সাধুখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল খালেক কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কুমারগাড়া গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে।
শৈলকুপা পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মিজানুর রহমান বলেন, শৈলকুপার সাধুখালী গ্রামের বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার লাগানোর কাজ করছিলেন শেখপাড়া বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত লাইনম্যান সোহেল রানা ও আব্দুল খালেক। মেরামতের সময় বিদ্যুতের কন্ট্রোলরুমে ফোন দিয়ে উপরে ওঠেন লাইনম্যান সোহেল রানা। কিন্তু বিদ্যুৎ বন্ধ না থাকায় বিদ্যুস্পৃষ্ট হন সোহেল। নিচে দাড়িয়ে থাকা লাইনম্যান আব্দুল খালেক কন্ট্রোলরুমে ফোন করে আবারো বিদ্যুৎ বন্ধ করতে বলে উপরে উঠে যান আহত সোহেলকে উদ্ধার করতে। কিন্তু কন্ট্রোলরুম বিদ্যুৎ বন্ধ না করায় আব্দুল খালেক ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত সোহেল রানাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলেও তার শারিরীক অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
পল্লী বিদ্যুতের জিএম ওমর আলী জানান, লাইন বন্ধ করে কাজ চলছিলো। কিন্তু কিভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের অবহেলা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শৈলকুপা থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একজন লাইনম্যান মারা গেছে। এ বিষয়ে সমিতির পক্ষ থেকে এখনো কিছুই জানানো হয়নি।
বিএনএনিউজ/ আতিকুর রহমান/ রেহানা/ বিএম