বিএনএ ডেস্ক: ১১৬ জন ধর্মীয় বক্তার সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এমন তথ্য জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে ‘গণ কমিশন’ ২ হাজার ২১৫ পাতার যে শ্বেতপত্র কমিশনে জমা দিয়েছে, সেটি পরীক্ষার জন্য একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটির উপস্থাপিত সারসংক্ষেপ পর্যালোচনার পর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদক সচিব। তিনি জানান, ১১৬ জন ধর্মীয় বক্তার আর্থিক লেনদেনের অনুসন্ধানে নামল দুদক’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, ১১৬ জন ধর্মীয় বক্তার সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে গণ কমিশনের করা অভিযোগ আমলে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। অন্য দুই কর্মকর্তা হলেন দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও মো. আহসানুল কবীর। তিন কর্মকর্তাকে এ-সংক্রান্ত দাপ্তরিক চিঠিও দেয়া হয়েছে।
মাহবুব হোসেন বলেন, কমিশনে আসা অভিযোগ পরীক্ষান্তে দুনীতির কোনো উপাদান বা তথ্য পাওয়া গেলে এবং তা কমিশন আইনের তফসিলভুক্ত হলেই পরবর্তী অনুসন্ধানের অনুমোদনের জন্য কমিশনে উপস্থাপন করা হয়। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শ্বেতপত্রটি ২ হাজার ২১৫ পাতার হওয়ায় তা পরীক্ষার জন্য একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি করা হয়েছে।
কমিটিকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়নি বা কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। ধর্মীয় বক্তা বা আলেমদের আর্থিক লেনদেন অনুসন্ধান-সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রম এ কমিটি শুরু করবে না।
কমিশনের সচিব বলেন, ১১৬ জন আলেমের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে মর্মে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তাতে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ বিভ্রান্তি দূর করতে সবার অবগতির জন্য প্রকৃত বিষয়টি তুলে ধরা হলো।
বিএনএ/ এ আর