বিএনএ, কক্সবাজার : কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে এক রোহিঙ্গা যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার ভোরে মহদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে তাকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। উদ্ধার হওয়া যুবক মোচনী নিবন্ধিত নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক ই-এর ৯৭২ নম্বর শেডের ৩ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা করিমুল্লাহর ছেলে হাসিমুল্লাহ (১৯)।
নিহত হাসিমুল্লাহর বিয়ে হয়েছে এক মাস আগে। নববধূর বিয়ের মেহেদির রং শুকানোর আগেই স্বামীর মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী।
সংশ্লিষ্ট নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যাম্পের মাঝি নুরুল আবছার বলেন, আরসা সন্ত্রাসীরা হাসিমুল্লাহকে টার্গেট করে হত্যা করেছে।কারণ এর আগে আরসার পক্ষ থেকে তাকে সতর্ক করা হয়েছে। বিষয়টি হাসিমুল্লাহ ক্যাম্প ইনচার্জকে অবহিত করেছিলেন।
জানা যায়, রোববার ভোরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে হ্নীলা স্টেশনের উত্তর পাশে ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন লবণের মাঠ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহের মুখ মণ্ডল রক্তাক্ত ও পেটের মধ্যে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত হাসিমুল্লাহর মা রশিদা বেগমের দাবি, তার ছেলে রাগ করে ঈদের শপিং করেননি। পরে তার ছেলের কিছু বন্ধুবান্ধব ঈদ শপিং করানোর কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। এরপর তাকে হত্যা করেছে। তবে যে সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়ে তাকে ঈদ শপিংয়ের কথা বলে আনা হয়েছে, সেই অটোরিকশা চালককে স্থানীয়রা আটক করেছে বলে জানা জানান তিনি।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুপ্তচর হ্নীলার উলুচামারী এলাকার ডাকাত গিয়াস গ্রেপ্তারের পেছনে হাসিমুল্লাহর ভূমিকা ছিল। মূলতঃ এ কারনে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের পাতানো ফাঁদে ফেলে হাসিমুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় লোকজন ও রোহিঙ্গা নেতারা।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম বলেন, খবর পেয়ে ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিএনএনিউজ/এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন/এইচ.এম।