বিএনএ,চট্টগ্রাম: লকডাউন থাকালেও বাজারে সবজির ঘাটতি নেই। তবুও নানা অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছে বিক্রেতারা। কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। তবে মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরীর কর্ণফুলী বাজার, রিয়াউদ্দিন বাজার, কাজির দেউরি বাজার, চকবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
বাজারে প্রতিকেজি গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, আলু ২০ টাকা, কাঁচামরিচের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
বাজারে ভালো সরবরাহ থাকার পরও সবজির দাম বাড়তির উপযুক্ত কোনো কারণ বলতে পারছেন না বিক্রেতারা। তারা বলছেন— লকডাউনের কারণে তাদের পণ্য পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। পাইকারদের কাছ থেকে বাড়তি দরে মাল কিনতে হচ্ছে। তাই সবজির দাম এখনো নাগালের মধ্যে আসেনি।
তবে মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিকেজি রুপচাদা আকারভেদে ৩৩০ থেকে ৫০০ টাকা, বাইলা মাছ ২৩০ থেকে ২৭০ টাকায়, ছুরি মাছ ২৮০ টাকা, কোরাল মাছ ৫৫০ টাকা, পোয়া মাছ ২৫০ টাকা, লইট্যা আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। এছাড়া বাটা ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা ৪৫০, সামুদ্রিক চিংড়ি ৩২০ থেকে আকারভেদে ৫০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়, রুই আকারে ছোট ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় ও কাতাল ১৮০ থেকে ২৩০ টাকায়, কই ৫০০ টাকায় ও শিং ৫০০, কেসকি মাছ ২৫০ টাকায় ও চিংড়ি ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি।
এদিকে মাংসের মধ্যে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা, সোনালী মুরগি ৩৮০ টাকা, লেয়ার ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়।
এছাড়া সয়াবিন প্রতিলিটার ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়, দুই লিটার ২৬৮ থেকে ২৭৫ টাকা ও পাঁচ লিটার ৬৩০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের বাজারে প্রতি কেজি পাইজাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, আটাশ ৫১ থেকে ৫২ টাকা, মিনিকেট ৬৩ থেকে ৬৫ টাকা ও নাজিরশাইল ৬৭ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিএনএনিউজ/মনির