বিএনএ,ঢাকা: বাংলাদেশী নাগরিকদের সহজে ও ঝামেলামুক্ত ভিসা প্রদানের জন্য থাই দূতাবাস চালু করেছে ই-ভিসা পদ্ধতি। তবে প্রতিদিনই হাজারো ভ্রমণপ্রত্যাশী এই প্রক্রিয়ায় ভিসা পেতে সমস্যায় পড়ছেন। অভিযোগ উঠেছে, অনলাইনে আবেদন করার পর অনেকেই ভিসা ফি জমা দিতে পারছেন না।
বাংলাদেশীদের থাইল্যান্ড ভ্রমণ বৃদ্ধি
সম্প্রতি থাইল্যান্ডে বাংলাদেশী পর্যটকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। চিকিৎসা এবং পর্যটন—এই দুই উদ্দেশ্যেই বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশী দেশটিতে যাচ্ছেন। এ চাহিদার কারণেই গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ই-ভিসা কার্যক্রম চালু করে থাই দূতাবাস। পরবর্তীতে, ২ জানুয়ারি থেকে সাধারণ পাসপোর্টধারীদের জন্যও এই সুবিধা চালু করা হয়। দূতাবাস জানায়, অনলাইনে মাত্র ছয় ধাপে আবেদন করে ১০ দিনের মধ্যেই ভিসা পাওয়া যাবে।
পেমেন্ট জটিলতায় আবেদনকারীদের ভোগান্তি
তবে ই-ভিসা প্রক্রিয়ার প্রধান সমস্যা দেখা দিয়েছে পেমেন্ট পর্বে। থাই কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৪০০ ভিসা আবেদন গ্রহণের কোটা নির্ধারণ করেছে। তদুপরি, শ্রীলঙ্কার কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন পিএলসি-কে পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে নির্ধারণ করে মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে পেমেন্ট সম্পন্ন করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। ফলে অনেক আবেদনকারী ফরম পূরণ করেও পেমেন্ট করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এর আগে বাংলাদেশীরা অনুমোদিত কেন্দ্রের মাধ্যমে পাসপোর্ট জমা দিয়ে স্টিকার ভিসা পেতেন, যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৮০০ ভিসা ইস্যু করা হতো। তবে অনলাইনে প্রতিদিনের কোটা মাত্র ৪০০। বিপরীতে, দৈনিক ১৭-১৮ হাজার আবেদন জমা পড়ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ
থাই ই-ভিসা প্রক্রিয়ার ভোগান্তির বিষয়ে অবগত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, ভিসা পেতে আগ্রহী পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে, ফলে আবেদন জমার পরিমাণও বেড়েছে। এই অতিরিক্ত চাপ এবং পেমেন্ট সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে থাই দূতাবাসকে অবহিত করা হয়েছে। সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে।
থাই দূতাবাসের প্রতিক্রিয়া
থাই দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, তারা ভ্রমণকারীদের ভোগান্তি সম্পর্কে সচেতন এবং সমস্যাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুতই এই ভোগান্তি নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিএনএনিউজ২৪, এসজিএন