বিএনএ, ঢাকা: জাতীয় সংসদে বিল আকারে উত্থাপন করা হয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত খসড়া আইন। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এটি উত্থাপন করেন।
পাঁচ দিন বিরতির পর আজ রোববার ( ২৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশন আবার শুরু হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করছেন।
এর আগে সংবিধানের আলোকে আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে গত ১৭ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে একটি বিধান আছে। যেখানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দিতে পারেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এ আইন করা হচ্ছে।
ওই দিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দিতে একটি সার্চ কমিটি (অনুসন্ধান কমিটি) গঠনের কথা বলা হয়েছে আইনে। এই সার্চ কমিটিব হবে ছয় সদস্যের। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সার্চ কমিটি যোগ্য প্রার্থীদের নাম সুপারিশের পর সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন।
সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগের জন্য বিলটি আনা হচ্ছে। কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই রাষ্ট্রপতিকে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। সেক্ষেত্রে আইনটি সংসদে তোলা থেকে পাস করে গেজেট প্রকাশের জন্য হাতে তিন সপ্তাহ সময় রয়েছে।
ইসি গঠনে কোনো আইন না থাকায় এর আগে তৃতীয়বারের মতো ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ইসি গঠন নিয়ে ২০১১ সালে প্রথম সংলাপ শুরু করেন প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। এবারের সংলাপে রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন ও স্বাধীন, নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ইসি গঠনের দাবি জানিয়েছে প্রায় সবগুলো রাজনৈতিক দলই। তবে আইনটি পাসের আগে সব অংশীজনদের মতামত নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বিএনএ/এমএফ