বিএনএ ডেস্ক : আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ভোটের ফলাফল দ্রুত পাঠানোর জন্য টেলিফোন, ফ্যাক্স ও ইন্টারনেট সংযোগ সচল রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-৬ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পরিপত্রে ভোটকেন্দ্রে ধূমপান হতে বিরত থাকা ও দিয়াশলাই, লাইটারসহ দাহ্য পদার্থ বহনে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রের অভ্যন্তরে বৈদ্যুতিক হিটার বা যেকোনো ধরনের চুলা ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণ এবং ভোটগণনা শেষে প্রিজাইডিং অফিসাররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় যথাসম্ভব স্বল্প সময়ে ভোটকেন্দ্র থেকে ভোটগণনা বিবরণী ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রাদি সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট সরবরাহ করবে। পরিপত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীকে নিজ নিজ সংস্থার যানবাহন ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, কোনো ভোটকেন্দ্রের ৪০০ গজ ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অথবা তার পক্ষে ক্যাম্প স্থাপন না করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ নিষেধাজ্ঞায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৭৯(৪) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত রিটার্নিং অফিসারের এখতিয়ার ক্ষুণ্ন হবে না, ভোটকেন্দ্রে কোনো প্রকারের দাঙ্গা, সন্ত্রাস বা অনিয়ম সংঘটিত হলে কিংবা আইন ও বিধির কোন ব্যত্যয় ঘটলে আইনানুগভাবে ভোটগ্রহণ করতে হবে।
এর আগে গত বুধবার (২০ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব খান বলেছেন, নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অনিয়ম করলে ছাড় নয়। ভোটকেন্দ্রের বাইরে কেউ ঝামেলা করলে পুলিশ অ্যাকশন নেবে। কোথাও অনিয়ম হলে সে কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে দায়িত্বরতদের সাসপেন্ড করা হবে।
বিএনএ/ ওজি