বিএনএ: ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা দূর করে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি, সংস্কৃতির বিনিময় ও বাণিজ্য ভারসাম্য আনতে ভারত সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী মহানগরীর একটি হোটেলে ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ’ সেলিব্রেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। কারণ তারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বার্থহীনভাবে সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের এই অকৃত্রিম বন্ধুত্ব অটুট থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা বিরোধিতা করেছিল, তাদের প্রেতাত্মা স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্র চলছে। হয়তো বা চলতেই থাকবে। আমাদের সজাগ থেকে এদেরকে মোকাবিলা করতে হবে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের অবদান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের পরপরই বঙ্গবন্ধু ভারতের সেনা সদস্যদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে বলেছিলেন। অথচ যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে যে দেশ স্বাধীন হয়, এতো সহজে তারা সেনা তুলে নিয়ে যায় না। কিন্তু ভারত সরকার বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সেনা প্রত্যাহার করেছিল।
অনুষ্ঠানে রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেন, প্রতিটি ভালো কাজে ভারত বাংলাদেশকে সাথে রাখে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে থেকে স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্য করেছে ভারতের জনগণ। দুই দেশের মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতির মিল রয়েছে-যা দুই দেশের সম্পর্ককে করেছে মজবুত ও শক্তিশালী।
পরে খাদ্যমন্ত্রীসহ অতিথিরা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
বিএনএ/এ আর