বিএনএ, চট্টগ্রাম: রাজস্ব ফাঁকি দিতে এফোর সাইজের কাগজের ভেতরে লুকিয়ে আনা হয়েছে নকল সিগারেট স্ট্যাম্প। চট্টগ্রামভিত্তিক প্রতিষ্ঠান “আরাফাত এন্টারপ্রাইজ” ১২০ কোটি টাকার এসব নকল স্টাম্প আমদানি করেছে।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিষয়টি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার শরফুদ্দীন মিয়া। এসময় চালান সংশ্লিষ্ট কন্টেইনার নামিয়ে বন্দরের অভ্যন্তরে নিয়ম অনুযায়ী শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়।
সূত্র মতে, চীনের শেনজেন শহরের ডিজি এন্টি-ফেইক কোম্পানি লিমিটেড থেকে চট্টগ্রামের জুবিলী রোডের কাদের টাওয়ারের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আরাফাত এন্টারপ্রাইজ এ-ফোর সাইজের কাগজ ঘোষণায় এক কন্টেইনার পণ্য আমদানি করে। আমদানিকারক এ-ফোর সাইজের ৮০ জিএসএম কাগজের ঘোষণায় দেয়। তবে মিথ্যে ঘোষণা দিয়ে এ-ফোর কাগজের ভেতর ১২০ কার্টন সিগারেটের জাল স্ট্যাম্প আমদানি করে। যার মধ্যে নিম্নমানের ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৫ হাজার পিস এবং মধ্যমমানের ২০ লাখ ১৫ হাজার পিস হালকা সবুজ ও খয়েরি রংয়ের জাল স্ট্যাম্প পাওয়া যায়। এতে হালকা সবুজ রংয়ের স্ট্যাস্পের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬৩ থেকে ১০১ টাকা। অপরদিকে হালকা খয়েরি রংয়ের স্ট্যাম্পের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৯ থেকে ৬২ টাকা। এ জাল স্ট্যাম্পগুলো ১ কোটি ৬২ লাখ সিগারেটের প্যাকেটে ব্যবহার করা যেতো।পণ্যচালানটি আমদানির লক্ষ্যে ইউনিয়ন ব্যাংক জুবিলী রোড শাখা থেকে এলসি করা হয়। এ চালানে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্ট মধুমতি এসোসিয়েট লিমিটেড।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার শরফুদ্দীন মিয়া বলেন, আরাফাত এন্টারপ্রাইজের কন্টেইনারটির ভিতরে সিগারেট ট্যাক্স স্ট্যাম্প লুকানো ছিল। স্ট্যাম্পগুলোর চালান প্রবেশ করলে সরকার প্রায় ১২০ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হতো।
তিনি জানান, এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুন না কেন কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে। আগামীকাল ফৌজদারী মামলা করা হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কাস্টম অ্যাক্ট ১৯৬৯ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি অনুযায়ী কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
বিএনএ/এমএফ