বিএনএ,ঢাকা: উন্নয়নের নামে সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার(২২ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
সে সময় বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন,দেশের অর্থনীতিকে আজকে লুটপাটের অর্থনীতিতে পরিণত করা হয়েছে।তারা নিজেদেরকে একটা উন্নয়নের রোল মডেল বলছে।পার্লামেন্টকে পুরোপুরি অকেজো করে ফেলেছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছে তারা। ফলে এখন বিশিষ্ট নাগরিকরা বক্তব্য দিচ্ছেন।এই নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করতে সম্ভব হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন,আজকে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ছে।সীমান্তে হত্যা হচ্ছে।রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দিতে পারছে না সরকার।বাস্তবতা হলো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা না থাকলে দেশে কোনো দিন কোনো কিছু সম্ভব হয় না।
তিনি বলেন,বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকতে মুক্তিযুদ্ধের মুল চেতনা থেকে বেরিয়ে একদলীয় শাসন কায়েম করছে। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নকে লক্ষ্য নির্ধারণ করে বিএনপি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে।মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা সামনের সারিতে থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন আজ তাদের হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে।মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের সম্মান প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করা হবে বলে জানান বিএনপির মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে ১৫টি বিষয়ভিত্তিক কমিটি ও ১০টি বিভাগীয় কমিটির নাম ঘোষণা করেন স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী ২০২১ উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
কমিটিগুলো হলো:-
১. বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে আহ্বায়ক করে স্মরণিকা কমিটি।
২. বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে আহ্বায়ক করে আইনের শাসন ও মানবাধিকার কমিটি।
৩. বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আহ্বায়ক করে প্রচার কমিটি।
৪. বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে আহ্বায়ক করে সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম কমিটি।
৫. বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানকে আহ্বায়ক করে স্বরচিত কবিতা এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা কমিটি।
৬. বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে আহ্বায়ক করে মিডিয়া কমিটি।
৭. বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানকে আহ্বায়ক করে প্রকাশনা কমিটি।
৮. বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মেজর (অব.) শাহজাহান ওমরকে আহ্বায়ক করে মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা কমিটি।
৯. বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুকে আহ্বায়ক করে র্যালি কমিটি।
১০. বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানকে আহ্বায়ক করে সাজসজ্জা, মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনী কমিটি।
১১. বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে আহ্বায়ক করে সাংস্কৃতিক কমিটি।
১২. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মুস্তাহিদুর রহমানকে আহ্বায়ক করে রচনা প্রতিযোগিতা কমিটি।
১৩. বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এম এ লতিফ খানকে আহ্বায়ক করে ক্রীড়া কমিটি।
১৪. বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকারকে আহ্বায়ক করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সচিবালয় কমিটি।
১৫. বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারকে আহ্বায়ক করে চিকিৎসা ও সেবা কমিটি গঠন।
বিভাগীয় কমিটি
১৬. বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকারকে আহ্বায়ক করে রংপুর বিভাগের কমিটি।
১৭. বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আহ্বায়ক করে ঢাকা বিভাগের কমিটি।
১৮. বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে আহ্বায়ক করে ময়মনসিংহ বিভাগের কমিটি।
১৯. বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে চট্টগ্রাম বিভাগের কমিটি।
২০. বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানকে আহ্বায়ক করে বরিশাল বিভাগের কমিটি।
২১. বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায়কে আহ্বায়ক করে খুলনা বিভাগের কমিটি।
২২. বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আমিন চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ফরিদপুর বিভাগের কমিটি।
২৩. বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুকে আহ্বায়ক করে রাজশাহী বিভাগের কমিটি।
২৪. বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে কুমিল্লা বিভাগের কমিটি।
২৫. সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হককে আহ্বায়ক করে সিলেট বিভাগের কমিটি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি