বিএনএ সিলেট: সিলেটে ‘কর্মবিরতি’র নামে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রেখেছে শ্রমিকরা। চলছে না কোন গণপরিবহন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসগামী লোকজন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা।
সোমবার (২২ নভেম্বর) সকাল ৬ টা থেকে পূর্ব ঘোষণা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি। সকাল থেকে সড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে শ্রমিকদের পিকেটিং দিতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সিলেট কুমারগাও বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যায়নি দুরপাল্লার কোন বাস। কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকেও কোন বাস ছেড়ে যায়নি। মাঝে মাঝে দুএকটি রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে হাসপাতালে থাকা রোগী ও রোগীদের স্বজনদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সিলেট নগরীর প্রবেশদ্বার টিলাগড় পয়েন্ট, বিমানবন্দর সড়কের বড়শালা বাইপাস, সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের টুকেরবাজার, লামাকাজি, দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল, নতুন ব্রিজের মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করেন পরিবহন শ্রমিকরা। কোন সিএনজি অটোরিকশা দেখলে মারমুখি আচরণ করতে দেখা যায় অনেক শ্রমিককে।
সিলেট নগরীর সুবিদবাজার এলাকা থেকে পায়ে হেঁটে জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজে যাচ্ছিলেন আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, বড় ভাই হাসপাতালে ভর্তি। সকালের খাবার নিয়ে তাকে পায়ে হেঁটেই হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
শহরতলীর ঘোপাল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম সৌদি প্রবাসী। করোনার টিকা দেওয়ার নির্ধারিত তারিখ আজ। গাড়ি না পেয়ে কিছু জায়গা পায়ে হেঁটে এবং পরে মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছান।
স্কুল শিক্ষিকা সায়রা বেগম জানান, সকালে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে চরম বিপাকে পড়েন। গাড়ি না পেয়ে পায়ে হেঁটেই স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন (রেজিঃ নং বি ১৭২৪) সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া আহমদ জানান, তাদের এই অনির্দিষ্টকালের পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি পূর্বঘোষিত। গত ৯ নভেম্বর সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে ৫ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়ে বাস্তবায়নের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি না মানায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি আহবান করা হয়।
জাকারিয়া আহমদ জানান, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বহনকারী পরিবহন কর্মবিরতির বাইরে থাকবে।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ