31.3 C
আবহাওয়া
২:০৬ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » প্রাবোওর “রেড অ্যান্ড হোয়াইট” মন্ত্রিসভায় যে পাঁচজন নারী স্থান পেলেন

প্রাবোওর “রেড অ্যান্ড হোয়াইট” মন্ত্রিসভায় যে পাঁচজন নারী স্থান পেলেন

নারী ক্ষমতায়ন ও শিশু সুরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে আরিফাতুল চোইরি ফাউজি নিযুক্ত

বিশ্ব ডেস্ক:  মের্দেকা প্রাসাদে ইন্দোনেশিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো রবিবার (২০ অক্টোবর) ঘোষিত তার “রেড অ্যান্ড হোয়াইট” মন্ত্রিসভায় সাতজন সমন্বয়ক মন্ত্রী, ৪১ জন মন্ত্রী এবং পাঁচজন মন্ত্রিপর্যায়ের কর্মকর্তার নাম ঘোষণা করেছেন।

মন্ত্রিসভায় পাঁচজন নারী মন্ত্রীর পদে আসীন হয়েছেন, যা দেশের নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে নারীদের প্রতিনিধিত্বের জন্য নতুন আশা বয়ে এনেছে। এখানে প্রাবোওর “রেড অ্যান্ড হোয়াইট” মন্ত্রিসভার পাঁচজন নারী মন্ত্রীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হলো:

১. শ্রী মুলিয়ানি ইন্দ্রাওয়াতি
প্রেসিডেন্ট প্রাবোও শ্রী মুলিয়ানি ইন্দ্রাওয়াতিকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। ইন্দ্রাওয়াতি প্রথমে সুশীল বামবাং ইয়ুধোয়োনোর (এসবিওয়াই) আমলে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা মন্ত্রী এবং জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা সংস্থা (বাপেনাস) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

এক বছর পর, এসবিওয়াইয়ের মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের ফলে তিনি অর্থমন্ত্রীর পদে আসীন হন এবং এই পদে মে ২০১০ পর্যন্ত ছিলেন। ২০১৬ সালে জোকো উইদোদো তাকে অর্থমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেন এবং ২০১৯-২০২৪ মেয়াদে পুনরায় এই পদে বহাল থাকেন।

২. আরিফাতুল চোইরি ফাউজি
প্রেসিডেন্ট প্রাবোও আরিফাতুল চোইরি ফাউজিকে নারীর ক্ষমতায়ন এবং শিশু সুরক্ষা মন্ত্রী (পিপিপিএ) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি জোকো উইদোদো আমলে বিন্তাং পুস্পায়োগার স্থলাভিষিক্ত হন।

ফাউজি মুসলিমাত নাহদলাতুল উলামার কেন্দ্রীয় বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক এবং ইন্দোনেশিয়ার আলেমা কাউন্সিলের (এমইউআই) তথ্য ও যোগাযোগ কমিশনের সক্রিয় সদস্য।

এছাড়া তিনি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রাবোও-গিবরান জাতীয় প্রচারণা দলের ডেপুটি চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এদিকে, ব্যবসায়ী ভেরোনিকা তানকে নারীর ক্ষমতায়ন এবং শিশু সুরক্ষা মন্ত্রীর ডেপুটি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা পিপিপিএ মন্ত্রণালয়ে একটি নতুন পদ। ভেরোনিকা তান ১৯৭৭ সালের ৪ ডিসেম্বর উত্তর সুমাত্রার মেদানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে সাবেক জাকার্তা গভর্নর বাসুকি চাহাজা পুরনামার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

২০১৮ সালের শুরুতে বিবাহ বিচ্ছেদের পর, ভেরোনিকা একটি মাংস আমদানির ব্যবসায় যুক্ত হন, যা আলফা অ্যাগ্রো ইন্দোনেশিয়া নামে পরিচিত। ভেরোনিকা তার শান্ত স্বভাবের জন্য পরিচিত হলেও তার ভিতরে ইন্দোনেশিয়ার নারী ও শিশুদের কল্যাণে উন্নতির জন্য একটি দৃঢ় লক্ষ্য রয়েছে।

৩. বিদিয়ান্তি পুত্রি ওয়ার্ধানা
বিদিয়ান্তি পুত্রি ওয়ার্ধানা প্রাবোওর পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি সান্দিয়াগা সালাহউদ্দিন উনোর স্থলাভিষিক্ত হন, যিনি জোকো উইদোদো আমলে পর্যটন এবং সৃজনশীল অর্থনীতি মন্ত্রী ছিলেন।

ওয়ার্ধানা একজন উদ্যোক্তা হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি পিটি তেলাদান রিসোর্সেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, যা কৃষি, শক্তি, শিল্প, সম্পত্তি এবং মিডিয়া খাতে বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করে।

মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর ওয়ার্ধানা পর্যটন খাতের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যাতে তার মন্ত্রণালয় পর্যটন ব্যবস্থার রূপান্তরের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে।

৪. মেউতিয়া হাফিদ
মেউতিয়া হাফিদ প্রাবোওর “রেড অ্যান্ড হোয়াইট” মন্ত্রিসভায় যোগাযোগ এবং ডিজিটাল বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি জোকো উইদোদোর আমলে যোগাযোগ এবং তথ্য মন্ত্রী বুদি আরি সেতিয়াদির স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।

মেউতিয়া ২০১৯-২০২৪ মেয়াদে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস (ডিপিআর) কমিশন ১ এর চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন টেলিভিশন সাংবাদিক এবং ২০০৫ সালে ইরাকে জিম্মি হওয়ার সময় তার নাম আলোচনায় আসে। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি পার্লামেন্টে নারীদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো এবং লিঙ্গ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন।

৫. রিনি বিদিয়ান্তিনি
রিনি বিদিয়ান্তিনি প্রাবোওর মন্ত্রিসভায় রাষ্ট্রীয় প্রশাসন এবং আমলাতান্ত্রিক সংস্কার মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি আব্দুল্লাহ আজওয়ার আনাসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।

তিনি ১৯৯৭ সালে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন মন্ত্রণালয়ে একজন সিভিল সার্ভেন্ট হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ২০২২ সালে তিনি মন্ত্রণালয়ের সচিব নিযুক্ত হন।

এরআগে জোকো উইদোদো (জোকোউই) প্রশাসনের সময় মন্ত্রিসভায় মোট নয়জন নারী মন্ত্রী ছিলেন, যা ইন্দোনেশিয়ার অন্যান্য প্রেসিডেন্টের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। জোকোউইয়ের মন্ত্রিসভা নারী প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে একটি নজির স্থাপন করেছে।

ইন্দোনেশিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট সুকার্নোর আমলে মন্ত্রিসভায় দু’জন নারী মন্ত্রী ছিলেন। সোহার্তোর শাসনামলে নারী মন্ত্রীদের সংখ্যা বেড়ে নয়জনে পৌঁছায়, তবে তৃতীয় প্রেসিডেন্ট বি. জে. হাবিবির নেতৃত্বাধীন সরকার পরিবর্তনের সময় মাত্র দু’জন নারী মন্ত্রী ছিলেন।

চতুর্থ প্রেসিডেন্ট আবদুররহমান ওয়াহিদের মন্ত্রিসভায় দু’জন নারী মন্ত্রী ছিলেন এবং ইন্দোনেশিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট মেগাওয়াতি সুকার্নোপুত্রির মন্ত্রিসভায়ও দু’জন নারী মন্ত্রী স্থান পান।

ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট সুশীলো বামবাং ইয়ুধোয়োনোর (এসবিওয়াই) আমলে মন্ত্রিসভায় আটজন নারী মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেন।

বিএনএনিউজ২৪, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ