বিএনএ কক্সবাজার: কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার অভিযোগে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন সন্দেহে কক্সবাজারে আটক এক যুবককে কুমিল্লায় নেয়া হচ্ছে। শুক্রবার (২২ অক্টোম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে কক্সবাজার থেকে তাকে নিয়ে কুমিল্লার পথে রওনা দেয় পুলিশ।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ওই যুবককে আটক করা হয়।
কক্সবাজার পুলিশসুপার (এসপি) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার ভোরে অভিযুক্ত ইকবালকে নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশের একটি দল।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ইকবাল সন্দেহে আটক যুবকের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত, তাকে কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আটক ইকবাল কিনা তা কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়ার পর বলা যাবে।
তিনি বলেন, ‘ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লা থেকে পুলিশের একটি টিম কক্সবাজার পৌঁছায়। প্রাথমিক আইনি কার্যক্রম শেষে আটক যুবককে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর সাড়ে ৬টার দিকে নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে তাকে নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও কুমিল্লা পুলিশ।
তবে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল কী তথ্য দিয়েছেন সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে, অভিযানে থাকা একজন পুলিশ জানান, সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘোরাফেরা করছিলেন ইকবাল সন্দেহে আটক ওই যুবক। পরে তাকে সৈকত থেকে আটক করে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে সে কোনো হোটেলে ওঠেনি।
উল্লেখ্য, শারদীয় দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীর দিন গত বুধবার (১৩ অক্টোবর) ভোরে কুমিল্লা শহরের নানুয়াদিঘির উত্তরপাড়ে দর্পণ সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন দেখা যায়। এরপর কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে ওই মণ্ডপে হামলা চালায় একদল লোক। সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।
ওই ঘটনায় প্রাপ্ত সিসিটিভি ফুটেজে ইকবাল নামের এক যুবককে দেখা যায়। সিসিটিভি’র সে ফুটেজে দেখা যায়, অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন কীভাবে, কখন মসজিদে যান এবং বের হন। এরপর মণ্ডপের দিকে যান এবং মণ্ডপ থেকে গদা হাতে ফেরেন তা ফুটেজে অনেকটা স্পষ্ট। দীর্ঘ সময় ধরে এই ফুটেজ অ্যানালাইসিস করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিজ্ঞ টিম।
বিএনএনিউজ/আরকেসি