বিএনএ ডেস্ক: খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে পাহাড়িদের ওপর হামলা, খুন ও ঘরবাড়িতে আগুনের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ চলছে। অবরোধে দ্বিতীয় দিনেও খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙামাটি, ঢাকা ও চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙাসহ উপজেলাগুলোতেও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ঢাকায় বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার আয়োজিত সমাবেশ থেকে ঘোষিত তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়েছে আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি সাজেক সড়ক, পানছড়ি, রামগড় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন অবরোধকারীরা। তবে অবরোধকে কেন্দ্র করে এখনও কোথাও কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, সহিংসতা এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সড়কে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে, চলমান অবরোধের কারণে সাজেক ভ্যালিতে আটকা পড়েছেন অন্তত ১ হাজার ৫০০ পর্যটক। রাঙামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীণ আক্তার বলেন, ‘অবরোধের কারণে নিরাপত্তাঝুঁকি থাকায় আটকে পড়া অন্তত ১ হাজার ৫০০ পর্যটকদের নিয়ে কোনো গাড়ি ছাড়া হয়নি। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
পর্যটকের সকলেই নিরাপদে আছেন বলেও জানান শিরীণ আক্তার।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে খাগড়াছড়ির পানখাইয়া পাড়ার নিউজিল্যান্ডে রাস্তায় মামুন নামে একজনের মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশের তথ্যমতে, মামুন বাইক চুরি করে দ্রুতগতিতে পালাতে হিয়ে বিদ্যুতের পোলের সাথে ধাক্কা খেয়ে আহত হন। তখন তাকে ধাওয়া করা লোকজন পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে মামুনের মৃত্যু হয়। মামুনের বিরুদ্ধে ১৪টি চুরি মামলা এবং দুটি মাদক মামলা ছিল।
মামুনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার বিকেল খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাঙালিরা বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভের পর বাস স্টেশন এলাকায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাঙামাটিতে বিক্ষোভের ডাক দেন পাহাড়ি সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। খাগড়াছড়ির সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে রাঙামাটিতেও।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ