26 C
আবহাওয়া
১১:৩৫ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল:সংসদীয় আসন-২৩৩ (সিলেট-৫)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল:সংসদীয় আসন-২৩৩ (সিলেট-৫)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল:সংসদীয় আসন-২৩৩ (সিলেট-৫)

বিএনএ, ঢাকা:  বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে সিলেট-৫ আসনের হালচাল।

সিলেট-৫ আসন 

সিলেট-৫ সংসদীয় আসনটি কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ২৩৩ তম আসন।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: নির্বাচনে ইসলামী ঐক্যজোটের ওবায়দুল হক বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৬ হাজার ১ শত ৪৬ জন। ভোট প্রদান করেন ৯০ হাজার ৫ শত ৯৩ জন। নির্বাচনে ইসলামী ঐক্যজোটের ওবায়দুল হক বিজয়ী হন। মিনার প্রতীকে তিনি পান ২৬ হাজার ২ শত ৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের হাফিজ আহমেদ মজুমদার। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১৯ হাজার ৬ শত ৮২ ভোট ।

ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিএনপির আব্দুল কাহির চৌধুরী কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি,প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি,ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই নির্বাচনে বিএনপির আব্দুল কাহির চৌধুরী কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের হাফিজ আহমেদ মজুমদার বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩ শত ৩ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৮ শত ৯১ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হাফিজ আহমেদ মজুমদার বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২৯ হাজার ৪ শত ৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জামায়াত ইসলামীর ফরিদ উদ্দীন চৌধুরী । দাড়িপাল্লা প্রতীকে তিনি পান ২৮ হাজার ১ শত ২০ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: জামায়াত ইসলামীর ফরিদ উদ্দীন চৌধুরী বিজয়ী হন

২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯ শত ৬ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ২ শত ৬৭ জন। নির্বাচনে জামায়াত ইসলামীর ফরিদ উদ্দীন চৌধুরী বিজয়ী হন। দাড়িপাল্লা প্রতীকে তিনি পান ৭৭ হাজার ৭ শত ৫০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের হাফিজ আহমেদ মজুমদার । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৫২ হাজার ৮ শত ৮৫ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের হাফিজ আহমেদ মজুমদার বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৪২ হাজার ৭ শত ৬ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৩ হাজার ১ শত ৯০ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হাফিজ আহমেদ মজুমদার বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৯ হাজার ৫ শত ৭৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জামায়াত ইসলামীর ফরিদ উদ্দীন চৌধুরী । দাড়িপাল্লা প্রতীকে তিনি পান ৭৭ হাজার ৬ শত ৪৩ ভোট।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দীন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দীন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে র্নিবাচনের দাবিতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের হাফিজ আহমেদ মজুমদার বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ২৪ হাজার ৫ শত ৮ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৪০ হাজার ৭ শত ৫০ জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৮ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের হাফিজ আহমেদ মজুমদার, ধানের শীষ প্রতীকে উলামাযে ইসলাম বাংলাদেশের উবায়দুল্লাহ ফারুক, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দীন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নুরুল আমিন, মিনার প্রতীকে ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ মতিন চৌধুরী, সিংহ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল মুনির চৌধুরী, উদীয়মান সূর্য প্রতীকে গনফোরামের বাহার উদ্দীন আলরাজী এবং হারিকেন প্রতীকে মুসলীম লীগের শহীদ আহমদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হাফিজ আহমেদ মজুমদার বিজয়ী হন । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭ শত ৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জমিয়তে উলামাযে ইসলাম বাংলাদেশের উবায়দুল্লাহ ফারুক । ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৮৬ হাজার ১ শত ৫১ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম সংসদে ইসলামী ঐক্যজোট, ষষ্ঠ সংসদে বিএনপি, সপ্তম, নবম, ও একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ, অষ্টম সংসদে জামায়াত ইসলামী এবং দশম সংসদে জাতীয় পার্টি বিজয়ী হয়।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর সিলেট-৫ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ,বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, সিলেট-৫ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৪৩.৯৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২১.৭৩%, বিএনপি ১৬.১১%, জাতীয় পাটি ১৪.৬৮%, জামায়াত ইসলামী ১৬.৭৯% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩০.৬৯% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬২.৪১% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫.২২%, বিএনপি ৪.১৬% জাতীয় পাটি ১২.৮৮%, জামায়াত ইসলামী ২৪.০৬% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩৩.৬৮% ভোট পায়।
২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬৫.৯৭% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৩.৪২%, ৪ দলীয় জোট ৪৯.১৩%, জাতীয় পাটি ১৪.৮৭%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ২.৫৮% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮২.৩৮% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৫৪.৫৩%, ৪ দলীয় জোট ৩৮.৮০% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৬.৬৭% ভোট পায়।

সিলেট-৫ (কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের হাফিজ আহমেদ মজুমদার। তিনি বয়সে ভারাক্রান্ত হওয়ায় নির্বাচনে তার প্রার্থী হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে না চাইলেও দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রার্থী হন। এবার তার মনোনয়ন নিশ্চিত নয়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. আহমদ আল কবির, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সিলেট বিভাগীয় আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ।

বিএনপির থেকে মনোনয়ন চাইবেন কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যাল কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (চাকসু) এর সামাজিক অ্যাপায়ন সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন। ১৯৮১ সাল থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এই নেতা। ২০০৮ এবং ২০১৮ সালে দলীয় মনোনয়ন পান কিন্তু দলের অনুরোধে জোটের শরিক দলকে ছাড় দেন। বিএনপি এবার তাকে মূল্যায়ন করার সম্ভাবনা বেশি। তাছাড়া বিএনপির সাংগঠনিক অস্থিত্ব রক্ষার্থে স্বৈরচার বিরোধী, মেধাবী লড়াকু এই নেতাকেই স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রার্থী হিসাবে চায়।

মামুনুর রশীদ ছাড়াও বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন, বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর চাচাতো ভাই কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এবং হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী। তবে তারা কেউ মাঠ পর্যায়ের বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত নেই। যোগাযোগ নেই এলাকার ভোটারদের সঙ্গে।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নিলে আলোচনায় আসেন ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী জামায়াত নেতা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীর নাম। ২০১০ সালে ৪০ জন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর তালিকা করে সরকার, যাতে ২৪ নম্বরে রয়েছে মাওলানা ফরিদ উদ্দিন। সেকারণে নিবন্ধন বাতিল হওয়া ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াত ইসলামী থেকে সিলেট জেলা উত্তর জামায়াতের আমির আনোয়ার হোসেন খান জোটের মনোনয়ন চাইবেন। এছাড়া জোটের আরেক শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে উবায়দুল্লাহ ফারুক মনোনয়ন চাইবেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মামুনুর রশীদকে বাদ দিয়ে উবায়দুল্লাহ ফারুককে ধানের শীষ প্রতীক দিয়ে মনোনয়ন দেয় বিএনপি।

জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইবেন সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিন ও জাতীয় পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক শাব্বীর আহমেদ।

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া সিলেট ৫ সংসদীয় আসনটি সারাদেশের তিনশত আসনের চেয়ে ব্যতিক্রম। এই আসনের সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ- বিএনপির নির্বাচনী রাজনৈতিক সমীকরণ ও মারপ্যাচের ওপর নির্ভরশীল। এই আসনটি একক রাজনৈতিক দলের ঘাঁটি নয়। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এই আসনটিতে প্রতিনিধিত্ব করেন।

১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ইসলামী ঐক্যজোটের ওবায়দুল হক উজিরপুরী, ২০০৮ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ইসলামীর মাওলানা ফরিদউদ্দিন, ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের উবায়দুল্লাহ ফারুককে জোট থেকে মনোনয়ন দেয়। অন্যদিকে ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিনকে ছেড়ে দেয়। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ আসনে জামায়াত ইসলামী ও উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ভোট ব্যাংক রয়েছে। তাদের ভোট বিএনপির বাক্সকে পূর্ণ করবে। এ আসনে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন হাফিজ মজুমদার। সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি থাকলেও জনগণের সঙ্গে তার দূরত্ব রয়েছে বলে খোদ দলীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ২৩৩ তম সংসদীয় আসন (সিলেট-৫) আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হাড্ডাহাডি লড়াই হবে।

বিএনএ/ শাম্মী, রেহেনা, ওজি ,ওয়াইএইচ

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ