24 C
আবহাওয়া
৮:২০ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মেড ইন বাংলাদেশ ট্যাগ নিয়ে আর্নেস্টের পথচলা

মেড ইন বাংলাদেশ ট্যাগ নিয়ে আর্নেস্টের পথচলা

আর্নেস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং

ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিনের প্রয়োজন হলেই সবাই চায়না, ইন্ডিয়া, কোরিয়া বা জার্মানীর কথা চিন্তা করেন।আমাদের দেশের ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে যেই সব অপরিহার্য মেশিন রয়েছে তার মধ্যে চিলার অন্যতম। সবাই যখন এই চিলার বিদেশ থেকে নিয়ে আসে তখনই আর্নেস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলাদেশে এই চিলার উৎপাদন শুরু করে।

তিনবন্ধু মিলে ব্যাবসার যাত্রা শুরু করেছিলেন ২০১০সালে।স্বপ্নের বীজবুনন হয়েছিল ছাত্রাবস্থায়।লক্ষ্যছিল উদ্যোক্তা হবার।শিক্ষাজীবন শেষ করার পর সবাই কিছুদিন চাকুরিরত ছিলেন এবং পরে সববাদ দিয়ে তিনবন্ধু মিলে একতালে তাদের উদ্যোগকে বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ শুরু করেন।

চিলার

ভাল চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা শুরু করার এই উদ্যোগ প্রথম দিকে কারও পরিবার মেনে নেয়নি।একপ্রকার পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ শুরু করেন এবং বাংলাদেশে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পণ্য উৎপাদনকারী অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেন।

শুরুর দিকে হয়তো কোন নির্দিষ্ট পণ্য দিয়ে ব্যাবসা শুরু করার পরিকল্প না ছিল না, কিন্তু সময়ের সাথে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী তারা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পণ্য দিয়ে কাজ শুরু করলেন তার মধ্যে অন্যতম হল চিলার।

 

চিলারের কাজ কি?

চিলার হল এমন একটা মেশিন যা পানি ঠাণ্ডা করার কাজে বিভিন্ন গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি, প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি, ফারমাসিটিকেল ইন্ডাস্ট্রি, ফুড ইন্ডাস্ট্রি ও অন্যান্য শিতলি করন প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি মৌলিক মেশিন হিসেবে ব্যাবহৃত হচ্ছে।

বাংলাদেশে আগে সবদেশের বাহিরে থেকে এই চিলার মেশিন আমদানি করা হত কিন্তু এই আর্নেষ্ট ইঞ্জিনিয়ারই বাংলাদেশে প্রথম চিলার মেশিন বানানো শুরু করেন।

চিলারের পাশাপাশি আর্নেষ্ট এইচ ভ্যাক, ডিহিউ মিডিফায়ার, কোল্ডরুম, ক্লিনরুম, এএইচইউ, কুলিং টাওয়ার নিয়ে সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রায় ছোট বড় শখানেক কোম্পানী এই আর্নেষ্ট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাস্টমার।দেশের চাহিদা পূরণ করে দেশের বাহিরে চিলার রপ্তানির কাজ চলছে এবং এই চিলার কে কিভাবে বিশ্বমানের করা যায় সেই নিয়ে গবেষণাও করছেন তারা।

যখন শুরু মেশিন ম্যানুফেচারিং

নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয় এ ই চিলার মেশিন ম্যানুফেচারিং। সেই থেকে এখন অবধি নিজেদের প্রকৌশলীর মাধ্যমে, নিজস্ব ডিজাইনে চলছে চিলার ও অন্যান্য কুলিং সরঞ্জামাদির ম্যানুফেচারিংয়ের কাজ।

সব মিলিয়ে আর্নেষ্টপরিবারে প্রায় অর্ধশত তরুণের কর্মসংস্থান হয়েছে যা দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

যদি এই আর্নেস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং সঠিক সাহায্য সহযোগিতা পায় তাহলে বাংলাদেশের তৈরি এই চিলার বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

বিএনএনিউজ২৪ডটকম,জিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ