বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক, সংসদ সদস্য, শিল্পপতি মরহুম সেকান্দর হোসেন মিয়ার পরিবারিক সম্পত্তি ফের নিলামে বিক্রির গণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত। জারি মামলা নম্বর ১২৮/২২ সূত্রে ২২ আগস্ট (সোমবার) দেশের প্রথম সারির বেশ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এই গণবিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করা হয়।
১৬ কোটি ৭৩ লাখ ৭৬ হাজার ৭১৭ টাকা আদায়ে হাটহাজারী থানার জঙ্গল দক্ষিণ পাহাড়তলী মৌজার ৪.৮২ একর জমি নিলামে তোলা হয়েছে। ন্যাশনাল ফিনান্স লিমিটেডের পক্ষে চট্টগ্রামের অর্থ ঋণ আদালত এই সম্পত্তি নিলামে তোলেন। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আগ্রহীদের কাছ থেকে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।
অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩ এর ৩৩ (১) ধারা মতে দৈনিক পত্রিকায় জারি করা বিজ্ঞাপ্তি উল্লেখ করা হয়, সেকান্দর হোসেন মিয়ার পারিবারিক প্রতিষ্ঠান হামিদা দোজা লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মরহুম সেকান্দর মিয়ার স্ত্রী গুলশান আরা বেগম। ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে রয়েছেন তার সন্তান মোর্শেদ মুরাদ ইব্রাহীম। তিনি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক প্রেসিডেন্ট, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক।
বিজ্ঞাপ্তিতে সেকান্দর মিয়ার স্ত্রী গুলশান আরা বেগম, পুত্র মোর্শেদ মুরাদ ইব্রাহীম ছাড়াও তার দুই পুত্র সন্তান, চার কন্যা সন্তানের নাম উল্লেখ রয়েছেন। এরা হচ্ছেন ফয়সাল মুরাদ ইব্রাহীম, রাশেদ মুরাদ ইব্রাহীম, আলেয়া পারভীন,রিজিয়া পারভীন, মালিয়া পারভীন, জেসমিন পারভীন। তারা ন্যাশন্যাল ফিন্যান্স লিমিটেড (এনএফএল) থেকে ঋণ নেয়। সুদাসলে যার পরিমাণ ১৬ কোটি ৭৩ লাখ ৭৬ হাজার ৭১৭ টাকা।
ঋণ খেলাপি এবং মামলায় অভিযুক্ত হামিদা দোজা লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটির কর্পোরেট অফিসের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে ২৬১, মাঝিরঘাট রোড, চট্টগ্রাম। রেজিস্ট্রার্ড অফিস ৯৯ পূর্ব নাসিরাবাদ। এছাড়া চেয়ারম্যান গুলশান আরা বেগম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোর্শেদ মুরাদ ইব্রাহীম এর তিনটি ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, ২৬১, মাঝিরঘাট রোড, চট্টগ্রাম। রেজিস্ট্রার্ড অফিস ৯৯ পূর্ব নাসিরাবাদ এবং তাদের বর্তমান বাসভবন বাড়ি নম্বর ৭৭, সড়ক ০৬, ওআর নিজাম সড়ক, আবাসিক এলাকা পাচলাইশ, চট্টগ্রাম।অন্যদের ঠিকানা উল্লেখ আছে ২৬১, মাঝিরঘাট রোড, ডবলমুরিং, চট্টগ্রাম।
আদালত সূত্র জানায়, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোর্শেদ মুরাদ ইব্রাহিম এর অপর প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টাল ফিসারিজ লিমিটেডও অর্থঋণ আদালতের অভিযুক্ত। মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে আসামিরা আদালতে উপিস্থিত হননি। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
উল্লেখ, সেকান্দর হোসেন মিয়া চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট, চট্টগ্রাম ক্লাবের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামস্থ কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের অনারারী কনসাল জেনারেল, বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও ইব্রাহিম গ্রুপের ডিরেক্টর, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ইউএসটিসি), চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ এবং ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।
বিএনএ/এ আর