18 C
আবহাওয়া
৩:০১ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ডেঙ্গু: ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি ২৯১ জন

ডেঙ্গু: ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি ২৯১ জন

ডেঙ্গু, একদিনে হাসপাতালে ভর্তি ২১১ জন

বিএনএ ঢাকা : ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৯১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৫৯ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩২ জন। ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা গেছেন আরও এক জন।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ১২১৮ জনে দাঁড়িয়েছে । তাদের  মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১১৩১ জন এবং অন্যান্য বিভাগে রোগী ভর্তি রয়েছেন ৮৭ জন।

রোববার (২২ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে ডেঙ্গু বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ১ জানুয়ারি থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট  ৮ হাজার ৪১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৭৮৭ জন। এদের মধ্যে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে শনিবার (২১ আগস্ট) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ২৭৮ জন।

এদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার মগবাজার, নিউ ইস্কাটন এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসাবো ও গোড়ান এলাকায় ডেঙ্গুর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১০টি ওয়ার্ডের ১৯টি এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ৪০ এর বেশি পাওয়া গেছে। দুই সিটি করপোরেশনের ৫৬টি এলাকায় ব্রুটো ইনডেক্স ছিল ২০ বা তার বেশি।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় মৌসুম এডিস সার্ভে ২০২১ এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে আয়োজিত জরিপ প্রকাশের ফলাফল অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের মগবাজার ও নিউ ইস্কাটন এলাকায় ডেঙ্গু মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। সূচক (বিআই) অনুযায়ী ৫৬ দশমিক সাত শতাংশ। এরপরে ঝুঁকিতে রয়েছে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ও নিকুঞ্জ; ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণপুর ও দারুসসালাম; ১৪ নম্বরের মিরপুর-১০ নম্বর, কাজীপাড়া; ২০ নম্বরের মহাখালী ও নিকেতন এবং ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের আফতাব নগর ও মেরুল বাড্ডা।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসাবো ও গোড়ান এলাকায় মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। সূচক (বিআই) অনুযায়ী ৭৩ দশমিক তিন শতাংশ। এরপরে ঝুঁকিতে রয়েছে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের এলিফ্যান্ট রোড ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আর. কে. মিশন রোড ও টিকাটুলী, ৩ নম্বরের বনশ্রী, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মিন্টো রোড ও বেইলী রোড ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বংশাল এলাকা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এবছর মশার উপস্থিতি বেশি।  ডিএসসিসি’র ৩০টি এবং ডিএনসিসি’র ২৬টি এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি পাওয়া গেছে। ২০২০ সালের জরিপে ডিএসসিসি’র ১৭টি এবং ডিএসসিসি’র ৯টি এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি পাওয়া যায়।

গত ২৯ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট ১০ দিন  ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডের ১শটি স্থানে জরিপ পরিচালনা করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ২০টি টিম।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ