26 C
আবহাওয়া
১:০৬ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বাড়ছে যমুনার পানি, নতুন এলাকা প্লাবিত

বাড়ছে যমুনার পানি, নতুন এলাকা প্লাবিত

বাড়ছে যমুনার পানি, নতুন এলাকা প্লাবিত

বিএনএ ডেস্ক: সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলছে। সেইসঙ্গে জেলার মধ্যে অভ্যন্তরীণ সকল নদ-নদীর পানিও বেড়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি  বিপৎসীমার মাত্র ৬ সেন্টিমিটার ও কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে  বিপৎসীমার মাত্র ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। প্রতিদিনই বন্যা কবলিত হয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকা। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন হাজারো মানুষ।  গো-চারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার গো-খামারিরা। এছাড়া, জেলার কাজীপুর ও চৌহালীতে প্রায় ৫০টি বসত ভিটা ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফ জানিয়েছেন,  যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার মাত্র ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) ওমর ফারুক জানান, কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার মাত্র ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ধরলার পানি বিপৎসীমার মাত্র পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের ১০ হাজার মানুষ। রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা, উলিপুরের মশালের চর, মোল্লারহাট, রৌমারীর ফলুয়ারচর, ধনারচর, শৌলমারীসহ বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙন তীব্র রূপ নিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

কুষ্টিয়ায় পদ্মার পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলের চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ তিন দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় এসব এলাকার মানুষের মধ্যে আশ্রয়, খাদ্যসহ খাওয়ার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ইউনিয়ন দুটির বাজুমারা, খারিজারথাক, বাংলাবাজার, চরবাহিরমাদি, আমদানিরঘাট, চিলমারী, চরচিলমারী, রামকৃষ্ণপুরসহ ৩৭টি গ্রাম এখন কোমরপানির নিচে। বন্যায় এলাকার মানুষের আমন ধান, পাটসহ বিভিন্ন ধরনের কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। কোলকোন্দ ইউনিয়নে চিলাখাল, মটুকপুর ও বিনবিনা চরের বাঁধের ধারে বসবাসকারী তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে।পূর্ব বিনবিনা এলাকায় বেড়িবাঁধটি সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্নসহ দেড় শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু।

নীলফামারীতে তিস্তার পানি বাড়া-কমার খেলায় ভোগান্তিতে পড়েছে ডিমলা উপজেলার পাঁচ হাজার পরিবার। আট দিন ধরে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় খাদ্যসংকটে পড়েছে পরিবারগুলো। ডিমলা উপজেলায় ব্যারাজের উজান ও ভাটিতে অবস্থিত পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচর ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামের ৫ হাজার পরিবার এবং চরভদ্রাসন, সদরপুর ও ভাঙ্গা উপজেলার শতাধিক গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে । তলিয়ে গেছে বেশ কয়েকটি সড়ক।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামি ২৪ ঘণ্টা তিস্তার পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে।গত ২৪ ঘণ্টায় গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কুড়িগ্রাম, কুষ্টিয়া, পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে। যমুনার পানি আরিচা পয়েন্টে আত্রাই নদী বাঘাবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ