35 C
আবহাওয়া
২:১২ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » নদীর নামে ববির বাস

নদীর নামে ববির বাস


।। রবিউল ইসলাম ।।

বিএনএ, ববি: একটা কথা বলা হয়ে থাকে যে “নামে কী আসে যায়”, নামে হয়তো খুব একটা আসে যায় না। কিন্তু নামেই আবার অনেক কিছু আসে যায়। নাম একটা নির্দিষ্ট পরিচিতি বহন করে,  নামটা মনে করলে সেই সম্পর্কে একটা চিত্র রূপায়িত হয় আমাদের মনে।

কথায় আছে ধান-নদী-খাল এই তিনে বরিশাল, বরিশালের বুক চিরে বয়ে চলেছে অসংখ্য নদী। এই নদীর নামেই নামকরণ করা হয়েছে বরিশাল  বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলোর। বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল শহরের তীর ঘেঁষে বয়ে যাওয়া কীর্তনখোলা নদীর নামে নামকরণ করা হয়েছে “কীর্তনখোলা” নামে একটি বাসের। আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে জীবনানন্দের সেই ধানসিঁড়ি নদীর নামেও নামকরণ করা হয়েছে একটি বাসের। বরিশাল-ভোলা দিয়ে প্রবাহিত ইলিশা নদীর নামে রয়েছে শিক্ষকদের জন্য একটি মিনিবাসও। এছাড়াও রয়েছে লতা, পায়রা, কীর্তনখোলা, বৈকালি, চিত্রা, ধানসিঁড়ি, সন্ধ্যা, সুগন্ধা, আন্ধারমানিক, আগুনমুখা, নয়াভাঙ্গানী প্রভৃতি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনপুলে নিজস্ব ১২টি বাস, বিআরটিসি চারটি ডাবল ডেকার ও দু’টি একতলা বাসসহ মোট ১৮টি বাস রয়েছে।

এই বাসের প্রতিটি নাম বহন করে একটি গল্প, এই নামকে ঘিরেই জমা হয় হাজারো স্মৃতি। কারো বা প্রিয়জনের সাথে প্রথম দেখা মেলে বাসের পাশাপাশি সিটে বসে৷ তখন বাসের সেই নান্দনিক নামই কী ভীষন প্রিয় হয়ে ওঠে তার কাছে। বৃষ্টির দিনে বাসে করে বাড়ি ফেরার সময় বন্ধুদের নিয়ে এক অন্যরকম আড্ডা জমে এই বাসে।

বেসুরো কন্ঠে গানও যেন মধুর হয়ে ওঠে, সবাই একসাথে গান ধরে গলা ছেড়ে। কেউ প্রিয়মানুষ বা বন্ধুর সাথে পাশাপাশি সিটে বসে যাওয়ার জন্য ব্যাগটা পশের খালি সিটে রেখে প্রিয়মানুষের জন্য সিট রাখে। শতভিড় আর ব্যস্ততা ঠেলে বাস ছাড়ার দু’এক মিনিট আগে চলে এসে এক মহা আনন্দ নিয়ে বসে পড়েন সিটে। তার পর বন্ধু বান্ধবের আড্ডা, গল্প , বেসুরো গান, প্রিয় মানুষের হাতে হাত রেখে ফিসফিসানি মনের কথা বিচিত্র চরিত্র আর গল্প নিয়ে কীর্তনখোলা নদীর উপর দিয়েই বয়ে চলে ববির নদীর নামের এসব বাসগুলো।

নদীর নামে বাসের নাম হওয়ায় খুব সহজেই বরিশালের নদীগুলোর নাম মনে থেকে যায় শিক্ষার্থীদের বাসগুলোর পেটে চেপে বসে আসা যাওয়ায়। শুধু বাসে চেপে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া নয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ফটোসেশনেরও প্রিয় বিষয় হলো বাসের সাথে ছবি উঠানো। ভাইভা-প্রেজেন্টেশন শেষে বাসের সাথে ছবি তুলে স্মৃতির পাতা ভারি করা। প্রিয় মানুষের হাত ধরে কেউ বাসের কাল্পনিক হেলপারও বনে যায়।

শিক্ষার্থীদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যসব প্রিয় জিনিসের মধ্য একটি হয়ে ওঠে এই বাসগুলো। দিন শেষে পায়রা, লতা, কীর্তনখোলা নামের বাসগুলোর সাথে কাটানো হাজারো স্মৃতি জমা হয় স্মৃতির পাতায় । মনে পড়ে বাসে বসে বেসুরো গলায় গাওয়া গান, বন্ধুর সাথে আড্ডা, প্রিয় মানুষের সাথে কাটানো মুহূর্ত বা বাসে  প্রথম দেখা  প্রিয় মানুষের সেই মুখটা। এভাবে বাসগুলো হাজারো স্বপ্ন আর গল্পে তৈরি করছে বছরজুড়ে।

বিএনএ/রবিউল, এমএফ/ হাসনাহেনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ