বিএনএ, কক্সবাজার : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে মর্টার শেল ও গুলির শব্দে কাঁপছে টেকনাফ। ফলে সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী টেকনাফের মানুষের মাঝে আতংক ও ভয়ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার (২২ জুন) গভীর রাত থেকে ভোররাত পর্যন্ত টেকনাফ সীমান্তের ওপারে রাখাইনে থেমে থেমে বোমা বিস্ফোরণ ও মর্টার শেলের বিকট শব্দ শোনা গেছে। এমন ভারী শব্দে এপারের স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘর কেঁপেছে।আজ দিনের বেশীর ভাগ সময় গুলির শব্দ শোনা গেছে।এ সময় স্থানীয়রা রাখাইনের আকাশে যুদ্ধ বিমানের শব্দ শুনেছেন।
সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, ‘ঈদের পূর্বাপর সময়ের বেশীর ভাগই শুধু মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ভারী অস্ত্রের গোলা, মর্টার ও বোমার ভয়ঙ্কর শব্দ শুনছি। শনিবার ভোররাতে যে আট দশটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে তাতে আমি ঘরের দরজা জানালা কাঁপতে দেখেছি। আগে কখনো এ ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় সেটা আমার ধারণায় ছিল না। এসব বিস্ফোরণের শব্দে বাচ্চারা খুব বেশি ভয় পাচ্ছে।’
শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মোহাম্মদ নজির আহমদ বলেন, ‘রাতে ভয়ঙ্কর কয়েকটি শব্দ শুনেছি। মনে হয়েছে রাখাইনে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ। ভোর রাত পর্যন্ত এ ধরনের শব্দে আমাদের ঘরবাড়ি কেঁপেছে।এ সময় আমরা বিমান চলার শব্দও শুনেছি। এছাড়া দিনের বিভিন্ন সময়ে ২০টির মতো এ ধরনের বিকট শব্দ শোনা গেছে।’
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুস সালাম বলেন, ‘শনিবার সীমান্তের লোকজন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গোলাগুলি ও বোমা বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দ শুনেছেন। নাফনদের সীমান্তে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে।’
শাহপরীর দ্বীপের নাফনদীর পাড়ের বাসিন্দা সাবেক এমইউপি মোঃ ইসমাইল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের মর্টারশেল ও গুলির শব্দ শুনতে শুনতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
রাখাইনের মংডু শহরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মংডু শহরের দক্ষিণের এলাকা গুলোর দখল নিতে চেষ্টা চালাচ্ছে আরাকান আর্মি।বেশ কয়েকটি এলাকার নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে তারা। নিজেদের নিয়ন্ত্রণ টিকিয়ে রাখতে প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে বোমা, মর্টার শেল হামলাসহ সব ধরনের আক্রমণ করে যাচ্ছে জান্তা সমর্থিত বাহিনী।সেখানকার স্থানীয় একাধিক সূত্রের দাবী গত কয়েকদিনে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
বিএনএ/ এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন, ওজি