29 C
আবহাওয়া
৯:৩৬ অপরাহ্ণ - সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ‘সংলাপের মাধ্যমে অর্থনৈতিক বাঁধা দূর করতে হবে’

‘সংলাপের মাধ্যমে অর্থনৈতিক বাঁধা দূর করতে হবে’

boithok

বিএনএ ডেস্ক: বাংলাদেশ ও ভারত অর্থনৈতিক উন্নয়নে যেসব বাঁধা মোকাবিলা করছে, তা আলোচনার মাধ্যমে দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২১ জুন) ভারতের নয়াদিল্লিতে তার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর সাক্ষাৎ করতে এলে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল দিল্লি পৌঁছেছেন। খবর বাসসের।

বৈঠক শেষে মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, দুই দেশে নতুন সরকার গঠনের পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে তারা আলোচনা করেছেন।

জয়শঙ্কর বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এমন উচ্চতায় পৌঁছেছে যে, এখন একে নতুন অধ্যায়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে লজিস্টিকস, জ্বালানি ও সংযোগ খাতে গভীরভাবে কাজ করতে চায়।

আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিম্সটেকের জন্য নতুন ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি আশা করেন, সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে বিম্সটেকের পরবর্তী বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকবেন।

তারা একমত হন, বিম্সটেককে শক্তিশালীকরণ বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য, সংযোগ এবং ডিজিটালাইজেশনের জন্য উপকারী হবে।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দেশটি সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

ভারতের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল এবং বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।

লোকসভা নির্বাচনে জয়ী বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর ভারতে কোনো সরকারপ্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আজ একান্ত বৈঠক হবে। তারপর প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনা হবে। দু’দেশের মধ্যে বেশ কিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। এ ছাড়া একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে এটি ভারতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর। তিনি গত ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আজ শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।

শেখ হাসিনা পরে মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক এবং প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনার জন্য হায়দরাবাদ হাউসে যাবেন। তারা সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দেবেন। হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন তিনি।

বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখারের সঙ্গে তার সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যায় তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করবেন।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ