।। এবিএম নিজাম উদ্দিন ।।
বিএনএ, ফেনী: আসন্ন কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে ফেনীর ১২৮টি স্থানে বসবে কুরবানীর পশুর মেলা। এর মধ্যে ১৫ টি স্থায়ী, বাকি ১১৩ টি অস্থায়ী। ৫ পৌরসভা ও ৬ উপজেলার ইজারাদারযুক্ত স্থানে এই গরুর হাট বসার নির্দেশনা অনুমোদন দিয়েছেন ফেনীর জেলা প্রশাসক।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৯ জুন) রাতে চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকের ২৯ তারিখ বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। উপজেলাসমূহের সর্বমোট ১১৯টি স্থানকে কুরবানির পশুর জন্য নির্ধারিত স্থান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৩৭টি, সোনাগাজী উপজেলায় ২১টি, দাগনভূঁঞাতে ১৯টি, ছাগলনাইয়াতে ১৬টি, ফুলগাজীতে ৮টি এবং পরশুরামে ৭টি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে। একইভাবে ফেনীর ৫ পৌরসভায় স্থায়ী ৪টি এবং অস্থায়ী ৫টিসহ মোট ৯টি পশুর হাট বসবে।
আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় জেলা প্রশাসক বলেন’ কুরবানী পশুর নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ সর্তকতা অবস্থান করা হবে। মানুষের মালে নিরাপত্তার নিশ্চিতের লক্ষ্যে স্থানীয় ব্যাংকসমূহকে বাজারভিত্তিক করার ক্ষেত্রে আলোচনা করে করতে হবে। কোন পশুর হাট যেন রাস্তায় উঠে না আসে এবং ছিনতাইকারী দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে মানুষকে রক্ষার জন্য ইউএনও এবং প্রশাসনকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক। কুরবানীর পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনারও সঠিক নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কোরবানী ঈদে বর্জ্য অপসারণে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছে ফেনী পৌরসভা। ঈদের দিন সন্ধ্যার মধ্যেই সব বর্জ্য অপসারণের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ফেনী পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন নিয়াজী। পৌরসভার প্রস্তুতি সম্পর্কে পৌর মেয়র জানান, কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য পৌরসভার প্রস্তুতি আছে। শহরে শান্তি এবং স্বস্তিতে ত্যাগের মাধ্যমে যেন মুসমানরা কোরবানি উদযাপন করতে পারে সেজন্য বর্জ্য অপসারণে ফেনী পৌরসভার পক্ষ থেকে ১৮টি ওয়ার্ডে ১২টি টিম গঠন করা হয়েছে। এতে প্রায় দুই শতাধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।এছাড়াও ১০ হাজার ব্যাগ বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় ইজারাদারদের সাথে কথা বলে জানা যায় ‘ বাজার ব্যবস্থাপনায় সব ধরনের প্রস্তুতি তারা সম্পন্ন করেছেন।’
স্থানীয় ক্রেতাদের দাবি’ বাজারে দালাল সিন্ডিকেট এবং দর বেশি চাওয়ার কারণে খুব একটা সুবিধাজনকভাবে গরু তারা ক্রয় করতে পারেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নামমাত্র অবস্থান করেন। এসবের বিপরীতে শক্ত অবস্থান না থাকলে বা মুখে বুলি ঠেলে কাজে প্রয়োগ না করলে তাহলে সে বরাবরের মতই সিন্ডিকেট চক্রের কাছে হেরে যাবেন সাধারণ ক্রেতারা।
বিএনএনিউজ/বিএম