বিএনএ, চট্টগ্রাম: হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিবসহ ১৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটির আরজি দাখিল করেছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস কে এম তোফায়েল হাসানের আদালত মামলাটি খারিজের আদেশ দেন।
বাদীপক্ষে মামলা দাখিলে অংশ নেওয়া সহকারী মহানগর পিপি রুবেল পাল বলেন, আদালত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি গ্রহণ করে শুনানি করেছেন। পরে সেটি খারিজের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচ এম জিয়া উদ্দিন বলেন, হেফাজতে ইসলামের নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাটি ফাইলিং মামলা হিসেবে আদালত গ্রহণ করেন। বিকেলে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।
এরআগে দুপুরে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস. কে. এম. তোফায়েল হাসানের আদালতে দায়ের করা মামলায় ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৭/২৮/২৯/৩১ ও ৩৫ নম্বর ধারায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন- মোবারক উল্লাহ (৫৫), সাজিদুর রহমান (৫৪), আশরাফুল হাসান তপু (২৫), বোরহান উদ্দিন কাসেমী (৫০), মাওলানা আলী আজম (৫৪), মাওলানা এরশাদ উল্লাহ (৪৫) মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী (৪৫) মাওলানা নোমান আল হাবীবি (৪৫), মোমিনুল হাসান তাজ (২৮), সোলেমান মোল্লা (৫৫), মাওলানা এনামুল হক (২৮), আব্দুল হাকিম মাওলানা (৫৫), মাওলানা মঞ্জুরুল হক (৪৫), খালেদ মোশাররফ (২৫), জুবায়ের আহমেদ, শাহরিয়ার আহমেদ শুভ, হোসাইন আহমেদ, মিজানুর রহমান সোহাগ ও কাওসার। এরা সবাই হেফাজতের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নেতাকর্মী।
মামলার এজাহারে সাংসদ মোকতাদির উল্লেখ করেন, ২৬ মার্চ হেফাজত নেতাকর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুরের পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুটি ম্যুরালও ভাঙে। পরবর্তীতে তারা সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘটনার দায় চাপায় সাংসদ মোকতাদিরের ওপর। এরপর অব্যাহতভাবে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দেয়। তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে।
বিএনএনিউজ/মনির