29 C
আবহাওয়া
৭:০৪ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ঘূর্ণিঝড় ইয়াস : মঙ্গলবার বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস : মঙ্গলবার বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস

বিএনএ, বিশ্ব ডেস্ক:  ওড়িশা নয়, বাংলার দিকেই আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (cyclone yaas) । এদিন দুপুরে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস। ২৪ মে সোমবার বিকেল থেকেই ভারতে শুরু হয়ে যাবে ঝড়-বৃষ্টি। আর ২৬ মে বুধবার ভোর নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আঘাত হানবে উপকূলে। এই সময়ের মধ্যে নিম্নচাপ ধাপে ধাপে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে এদিন সকালে এদিন আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। যা রবিবার সকাল নাগাদ আরও ঘনীভূত হবে। যা এরপর উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে। যার জেরে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

সোমবার বিকেল থেকে শুরু ঝড়-বৃষ্টি এদিন আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ২৪ মে সোমবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপরেও তা উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। আরও ঘনীভূত হয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলের কাছে পৌঁছবে।

পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে

ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস তৈরি হওয়ার মধ্যে এখনও দুটি ধাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। যার জেরে ২৫ মে মঙ্গলবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ বিশেষ করে উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হবে। আর কোনও কোনও জায়গায় ওইদিন অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। পরের দিন ভোরে এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানবে। ওইদিন পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী কোথাও কোথাও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। আর ২৬ মে বিকেলের দিকে তা পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে। বাংলাদেশেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

 

ইয়াস নামটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম হল যেভাবে

ঘূর্ণিঝড় তওকতের ধাক্কায় বিপর্যস্ত পশ্চিম ভারত। কিন্তু এই বিপর্যয়ের এক সপ্তাহের মধ্যেই এবার আরও একটি ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসতে চলেছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ইয়াস বা ‘যশ’। গতবছর আমফানের পর এবার যশের আগমনের খবরে ইতিমধ্যে ভয়ে আতংকগ্রস্ত ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা। আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, উত্তর আন্দামান সাগরে যে নিম্নচাপটি রয়েছে, সেটিই আগামী ২২ মে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। তারপরই তা স্থলভাগের দিকে ধীরে ধীরে সরতে থাকবে। শেষে ২৬ মে সকালেই ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ বা (Yaas)।

কিন্তু কেন এমন নাম ঘূর্ণিঝড়টির? কী এর নামের মানে? আসলে এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নামটি রেখেছে ওমান। এই যশ বা ইয়াস শব্দটির মানে হল হতাশা। ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইয়েমেন- এই ১৩টি দেশ নিয়ে তৈরি কমিটিই ঠিক করেছে নামটি।

আবহবিদদের মতে, সাধারণ মানুষের কাছে ঝড় সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দিতে তার নাম থাকাটা দরকারি। নইলে একই সময় একই সমুদ্রে একাধিক ঝড় থাকলে চিহ্নিত করতে সমস্যা হয়। ঝড় চলে গেলেও একই সমস্যায় পড়েন আবহবিদরা। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে যে মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তার অববাহিকায় থাকা দেশগুলি নামকরণ করে। চলতি শতকের শুরুর দিকে এই পদ্ধতি চালু হয়। পৃথিবীতে মোট ১১টি সংস্থা নাম ঠিক করে। যদিও কয়েক দশক আগে এসব নিয়ম ছিল না। তখন নানা ঘটনা থেকে ঝড়ের নাম ঠিক হত। কোনও ঝড়ে কোনও জাহাজ ডুবে গেলে সেই জাহাজের নামে হত ঝড়ের নাম।

২০০০ সালে ঝড়ের নামকরণের জন্য নিয়ম বানানো হয়। তাতে ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন ও ইউনাইডেট নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়ার সদস্য দেশগুলি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে। এতে থাকা ওই ১৩টি দেশ ১৩টি করে নাম দেয়। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ১৬৯টি নাম জমা পড়ে। সেই তালিকা থেকেই ফণী, হুদহুদ, আমফান, নিঃসর্গ, তাওকত প্রভৃতি নামগুলি এসেছে। আর তাওকতের পরের নামটিই হল এই ‘যশ’ (Yaas)।

বিএনএনিউজ২৪/এসজিএন

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ