থাইল্যান্ডে চলতি মাসে ১-২১এপ্রিল পর্যন্ত কেবল ৪হাজার৭৯১জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে নাইটক্লাব, পার্টিস ও কনসার্টে অংশ নিয়ে। এ্মন তথ্য দিয়েছে দি সেন্টার ফর কোভিড-১৯ সিটুয়েশন এডমিনিস্ট্রিশন (সিসি এসএ)।
এসব স্থানে যাওয়া কেবল ২১তারিখই পাওয়া যায় ১০৪জন করোনা রোগী।
থাই সরকার করোনা ছড়ানোর স্থানগুলো চিহিৃত করে সেখানকার লোকজনের ওপর কড়ানজরদারি করছে। আক্রান্ত এলাকাগুলোকে রেড জোন হিসেবে চিহিৃত করে দিচ্ছে।
করোনার ডাটা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সরকারের আইসিটি মন্ত্রাণালয়,যোগাযোগ মন্ত্রাণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আইটি বিভাগ নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
রয়েছে করোনার নানা তথ্যসম্বলিত দুটি ওয়েবসাইট। করোনা ডটকম ডটবিডি এবং করোনাভাইরাস ডটকম ডট বিডি।
লকডাউন ও কঠোরলকডাউনে সবজি,মাছমাংসের পাইকারীবাজার, ইফতারীর বাজারগুলো হতে কোন রকম করোনা ছড়াচ্ছে কি না সে সম্পর্কে তথ্য পেতে ১০-১৪দিন পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।
করোনায় কারা কিভাবে আক্রান্ত হচ্ছে তা প্রচার করলে মানুষ অধিক সাবধান হয় এমনটা মনে করেন অনেকে। তাই বাংলাদেশ সরকারের উচিত করোনা সংক্রমণের স্পট ও কারণগুলো চিহিৃত করে তথ্য সংগ্রহ করা এবং মিডিযায় প্রচার করা।
থাইল্যান্ড সরকার খুলে দিয়ে বুঝতে পারছে নাইটক্লাব,পার্টি সেন্টার কতোটা এখন ক্ষতিকর। পর্যটন সমৃদ্ধদেশটিতে বলতে গেলে এখন তেমন কোন বিদেশি পর্যটক নেই। বিদেশ থেকে কেউ সে দেশে গেলে ১৪দিন কম খরচের হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়। তারপর করোনা টেস্ট করে ফল নেগেটিভ আসলে তিনি থাইল্যান্ডে মুভ করার অনুমতি পান।
আমাদের দেশে কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য কোন হোটেল মোটেল নির্দিষ্ট করা নেই। চলতি বছর লকডাউনে রেড জোন থেকে বের হওয়া, কোয়ারেন্টিনে না থাকা এবং বিদেশ থেকে ফিরে যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানোর জন্য তেমন কেউ শাস্তি পায় নি। তবে আগের বছর পেয়েছে। পুলিশ খুঁজে খুঁজে বের করে বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছিল।
চোখে দেখা :
০১. পথেরধারের সবজি বাজারে বিক্রেতা ও ক্রেতার( অনেকের) মাস্ক থাকে না।
০২.মাছ বাজারেরও একই দশা
০৩. তবে পাইকারী মাছ বাজারের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। সেখান থেকে কতজন আক্রান্ত হচ্ছে , আদৌ হচ্ছে কীনা সে সম্পর্কে কোন তথ্য নগরবাসী জানে না।
০৪. মিডিয়ার দায়িত্ব- ছবি দিয়ে –ক্যাপশান-যেখানে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই।যেমন চট্টগ্রামের নতুন ফিশারী ঘাট।
০৫. ফুটপাতের চা-সিগারেটের টং দোকান-গরম পানিতে অনেকে কাপ ধুয়ে চা দেন। ওয়ানটাইম কাপেও পাওয়া যায়। কিন্ত বিক্রেতা শত ক্রেতার ছোয়া কাপ ফের ধরছে। প্যাকেট থেকে একটা একটা সিগারেট বের করে ক্রেতাদের দিচ্ছে, সবাই একই লাইটার ব্যবহার করছে।
রেস্টুরেন্ট টং দোকান সিগারেট বিক্রেতার কাছ থেকে করোনা সংক্রমণ হচ্ছে কি না সে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা জাতীয় স্বার্থে জরুরি।
০৬. রাস্তার ধারের সেলুনগুলো বন্ধ হলেও বাসাবাড়িতে বিউটি পার্লারগুলো ঠিকই রূপচর্চ্চার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ সেখানে পুলিশী ঝামেলা নেই। নারীদের সংক্রমণের কত শতাংশ বিউটি পার্লারে গিয়ে আক্রান্ত তা বের করা প্রয়োজন।
কায়সার খান,আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম।