বিএনএ ডেস্ক : নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তাদের মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়।
বৈঠকে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসায় নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারিকে ধন্যবাদ জানাান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে চলা আলোচনায় দু’দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য, সংস্কৃতি বিনিময়সহ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় উঠে আসে।
এর পর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি। অনুষ্ঠানে তিনি সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
‘মুজিব চিরন্তন’প্রতিপাদ্যে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সোমবার ষষ্ঠ দিনের অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এর আগে, সকাল ১১ টার দিকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি। সোমবার সকাল ১০টার দিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান নেপালের রাষ্ট্রপতি। সেখানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাকে স্বাগত জানানো হয় ২১ বার তোপধ্বনি দিয়ে। নেপালের রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অভ্যর্থনা মঞ্চে পৌঁছালে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল এ সময় গার্ড অব অনার দেয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, তিন বাহিনী প্রধান, আইজিপি এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
নেপালের কোনো রাষ্ট্রপতির এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। সফরে তার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রয়েছেন।