বিএনএ,ঢাকা : যাত্রীদের চলাচল সহজ করতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) এবং হাজী ক্যাম্পকে যুক্ত করে সরকার একটি ‘আন্ডারপাস’ নির্মাণ করছে।
‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস’ নামের এক কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ প্রকল্পটিকে বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্পটির নকশা ও অন্যান্য দিক দেখে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত চমৎকার একটি প্রকল্প। আমি যেমনটি চেয়েছি, তার সবই এখানে রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, এটা অত্যন্ত চমৎকার একটি প্রকল্প। এটি বাস্তবায়িত হলে, একটি যুগান্তকারী ঘটনা হবে।’
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন যে- এটি বাস্তবায়িত হলে ওই এলাকাগুলোতে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে। এছাড়াও মানুষ ট্রেন থেকে নেমেই বিমানে উঠতে পারবেন। এর পাশাপাশি পরিবেশও ভালো হবে।
সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১ হাজার ১৮৩ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০৭০ মিটার দীর্ঘ আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পটি নির্মাণ করছে আর্মি সদরদফতরের ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড।
উপস্থাপনায় দেখানো হয়েছে, এই আন্ডারপাসটিতে এস্কেলেটর, এলিভেটর এবং এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম, প্রাকৃতিক আলো ও ভেন্টিলেশন (বায়ু চলাচল)সহ বিমানবন্দরের মতো মালামাল পরিবহনের জন্য বগি চলাচলের সুবিধাও থাকবে।
কোন কারণে বিদ্যুৎ চলে গেলে যেন প্রাকৃতিক অক্সিজেনের প্রবাহ অব্যহত থাকে সেজন্য এতে ভেন্টিলেশন সিস্টেম স্থাপন করা হবে। এতে আটটি বহির্গমন ও প্রবেশ পথ থাকবে। একই সঙ্গে এই আন্ডারপাসটিতে আধুনিক অগ্নিনির্বাচন পদ্ধতি ও এ জন্য প্রায় ১.১৫ লাখ লিটার পানি সংরক্ষিত থাকবে।
আন্ডারপাসের ভেতরে ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।
বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি)’র চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএনিউজ/এ আর