28.2 C
আবহাওয়া
৯:২৩ অপরাহ্ণ - অক্টোবর ৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জেব্রা মৃত্যুর ঘটনায় ফৌজদারী ও বিভাগীয় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত

জেব্রা মৃত্যুর ঘটনায় ফৌজদারী ও বিভাগীয় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত


বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জানুয়ারি মাসে ১১টি জেব্রার মৃত্যুর হয়। এ ঘটনায় ফৌজদারী মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সাথে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণে বিভাগীয় মামলা দায়ের করার কথাও জানানো হয়।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

পরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তদন্ত কমিটির মতামত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঘাসে অতিরিক্ত নাইট্রেটের প্রভাব ও মিশ্র ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে জেব্রাগুলোর মৃত্যু হয়েছে। তবে, ২ ও ৩ জানুয়ারি তিনটি জেব্রার মৃত্যু ধামাচাপা দেওয়া এবং আঘাতে মৃত্যুর বিষয়টি প্রতিষ্ঠা করতে জেব্রা তিনটির পেট ধারালো কিছু দিয়ে কাটা হয়। জেব্রা তিনটির পেট কারা কেটেছে তা উদঘাটনে নিবিড় তদন্তের প্রয়োজন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এতগুলো জেব্রার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরও জরুরিভিত্তিতে মেডিক্যাল বোর্ডের সভা আহ্বান করা হয়নি। যা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার শামিল। কোন প্রাণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটলে জিডি করার প্রচলন থাকলেও থানায় কোন জিডি করা হয়নি, যা রহস্যজনক।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব গত ২২ জানুয়ারি সাফারি পার্ক পরিদর্শন করেন। সেদিন পর্যন্ত ৮টি জেব্রা মারা গেলেও কোন কর্মকর্তা জেব্রার মৃত্যুর ঘটনাটি সচিবকে অবহিত করেননি। এতে বুঝা যায় প্রথম থেকেই জেব্রা মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে।

সাফারী পার্কে প্রাণীর মৃত্যুরোধ ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে ২৪টি সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে ১১ টি স্বল্পমেয়াদী, ৪ টি মধ্য-মেয়াদী ও ৯ টি দীর্ঘ মেয়াদি।

উল্লেখ্য, জেব্রা মৃত্যুর ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে ২৬ জানুয়ারি পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে পরিবেশ, বন পরিবর্তন জলবায়ু মন্ত্রণালয়। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়।

বিএনএ/ এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ