বিশ্ব ডেস্ক : ফিলিস্তিনি উপত্যকা গাজার শাসক সরকার হামাস স্পষ্ট করেছে গত ৭ অক্টোবর যেসব কারণে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল। রবিবার(২১ জানুয়ারি ২০২৪) এক বিবৃতিতে হামাস সরকার জানায়, যে তাদের যোদ্ধাদের কেবল ইসরায়েলি সৈন্য এবং অস্ত্র বহনকারী লোকজন লক্ষ্যবস্তু ছিল। সাধারণ ইসরায়েলিরা ‘না”।
অপারেশন আল আকসা ফ্লাড নামের অভিযানে “ত্রুটি” ছিল, তবে দাবি করে “আওয়ার ন্যারেটিভ” শিরোনামের একটি ১৬ পৃষ্ঠার ব্যাখা প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামাস ইসরায়েলি সামরিক স্থানগুলিকে লক্ষ্যবস্তু এবং সৈন্যদের বন্দী করার পরিকল্পনা করেছিল, যা ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে চাপ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বেসামরিক লোকদের ক্ষতি করা এড়ানো হামাসের সশস্ত্র শাখা, কাসাম ব্রিগেডের যোদ্ধাদের “একটি ধর্মীয় এবং নৈতিক প্রতিশ্রুতি”।
“যদি বেসামরিক লোকদের টার্গেট করার কোনো ঘটনা ঘটে থাকে; এটা ঘটনাক্রমে ঘটেছে এবং দখলদার বাহিনীর সাথে সংঘর্ষের সময়,” ।
পড়ুন : ফিলিস্তিন ভূমি যেভাবে ইহুদিদের হাতে গেল
হামাস জানায়, আক্রমণের সময় “সম্ভবত কিছু ত্রুটি ঘটেছে” “ইসরায়েলি নিরাপত্তা ও সামরিক ব্যবস্থার দ্রুত পতনের কারণে এবং গাজার নিকটবর্তী অঞ্চলে বিশৃঙ্খলার কারণে।
এর আগে হামলার পর তার প্রথম পাবলিক রিপোর্টে হামাস বলেছিল, এটি “ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সমস্ত ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করার জন্য একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া”। বছরের পর বছর অত্যাচারিত, নির্যাতিত, সার্বিক অবরোধে অতিষ্ঠ, বিক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিদের ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ছিল অপারেশন আল আকসা ফ্লাড।
৭ অক্টোবরের হামাস যোদ্ধাদের হামলায়, কমপক্ষে ১১৩৯ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক, এবং প্রায় ২৪০ জনকে বন্দী হিসাবে আটক করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : গাজায় নৃশংসতার মূল্য: ইসরায়েলকে তিনটি কবর খনন করতে হবে
বিএনএ,এসজিএন/ হাসনা