বিএনএ,কক্সবাজার: সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়া ‘এসটি ভাষা শহীদ সালাম’ জাহাজটি এখন সচল হয়েছে।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে ১৭০ জন যাত্রী নিয়ে জাহাজটি সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফিরেছে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাহাজটির টেকনাফের পরিচালনা ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন।
কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাহাজটি ২২৯ পর্যটক নিয়ে টেকনাফের দমদমিয়া বিআইডব্লিউটিএ বন্দর থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট থেকে ২০৫ পর্যটক নিয়ে ফেরার পথে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। জাহাজটি সন্ধ্যা ৬টায় টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু জাহাজটি ওই স্থানে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে আটকে রয়েছে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে স্পিডবোট ও ট্রলারে করে পর্যটকদের সেন্ট মার্টিনে ফেরত নেয়া হয়।
এস টি ভাষা শহীদ সালাম জাহাজের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ইঞ্জিনচালিত বাহনের বিকল হওয়া নিয়ে কেউ গ্যারান্টি দিতে পারে না। আটকে যাওয়া পর্যটকদের আবাসন ও পরিবহন খরচটা আমরাই বহন করেছি। কোস্টগার্ড ও অন্য শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে আমরা সব কিছু করছি।
তিনি বলেন, জাহাজের পর্যটকদের রাতে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। জরুরি কাজ থাকায় ৩৫ জন পর্যটককে স্পিডবোটের মাধ্যমে সকালে টেকনাফে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়। গতকাল রাতেই চট্টগ্রাম থেকে টেকনিশিয়ান এনে সকালের দিকে জাহাজের গিয়ার বক্স মেরামত করা হয়েছে। পর্যটকদের অনুরোধে আজ বিকেলের দিকে আটকে পড়া ১৭০ জনকে নিয়ে জাহাজটি সেন্ট মার্টিন ছেড়েছে।
ওই জাহাজে থাকা রাজশাহীর একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাদেকুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিন জেটি থেকে ছেড়ে আসার কিছুক্ষণ পর জাহাজটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে জাহাজের নাবিকেরা ইঞ্জিন মেরামতে ব্যর্থ হন। এ সময় জাহাজের অনেক নারী ও শিশু ভয়ে কান্নাকাটিও করে। জাহাজটিতে দুই শতাধিক পর্যটক ছিলেন। তাই গতকাল সেটি ফিরতে পারেনি। তবে জাহাজ কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করেছিল।
বিএনএনিউজ/মনির