বিএনএ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে আমরা যেন এই অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে চলতে পারি।
সোমবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২২ উপলক্ষ ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যেসব জিনিস আমদানি করতে হয় যেমন ভোজ্যতেল, জ্বালানি তেল, গম, ভুট্টা- সেগুলোর দাম যেমন বেড়েছে তেমনি পরিবহন ব্যয়ও অনেকাংশে বেড়েছে। তারপরও সরকার থেমে নেই। সরকার এগুলো অতিরিক্ত মূল্যে কিনে দেশের জনগণকে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং উন্নয়ন অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। কোভিড-১৯ পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং একে কেন্দ্র করে স্যাংশনে (নিষেধাজ্ঞা) উন্নয়নের গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়েছে। কারণ এর ধাক্কায় বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও হিমশিম খাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ থেকে ২০৪১ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে তার পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনাও আমরা প্রণয়ন করেছি এবং তারই ভিত্তিতে আমাদের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। এই ব-দ্বীপ অঞ্চলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে সেজন্য তার সরকার প্রণীত শতবর্ষমেয়াদি ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
দেশে-বিদেশে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারীদের সম্মাননা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, অন্তত এটুকু কাজ আমি করেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ আর অসম্মানের চোখে দেখবে না। আর কখনো কেউ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বা তাদের পরিবারকে অবহেলা করবে না। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার যেন তাদের সম্মান নিয়ে চলতে পারে।
বিএনএ/ ওজি