বিএনএ ডেস্ক: ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে কাতার। ৯২ বছরের ইতিহাসে এই নজির সৃষ্টির সঙ্গে জড়িয়েছে দেশটির ২০ বছর বয়সী যুবক ঘানিম আল মুফতাহর নাম। বিশেষভাবে সক্ষম এ যুবক মানবদরদি হিসেবেই পরিচিত।
‘দ্য গ্রেটেস্ট শো আর্থের’ ২২তম আসরে রোববার (২০ নভেম্বর) জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা মর্গান ফ্রিম্যানের সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলো কেড়েছেন ঘানিম। জন্ম থেকেই পা নেই ঘানিমের। কডাল রিগ্রেশন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত তিনি। কিন্তু সেসব প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে ঘানিম কাতারের জনপ্রিয় ইউটিউবার, একজন জনপ্রিয় মোটিভেশনাল স্পিকার ও মানবসেবী।
আল মুফতাহ প্রথমবার বিশ্ববাসীর সামনে হাজির হন ২০১৮ সালে, ১৬ বছর বয়সে। কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত টেডএক্সের অনুপ্রেরণামূলক অনুষ্ঠানে তিনি তার কডাল রিগ্রেশন সিনড্রোম নিয়ে কথা বলেন। যে রোগে আক্রান্ত হলে মানুষের শরীরের নিচের অংশ বৃদ্ধি পায় না।
কোরআন তেলাওয়াতের ছাড়াও ঘানিম এবারের বিশ্বকাপে ফিফার শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হন। ইংল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ঘানিম জানান, ফিফা বিশ্বকাপের একজন শুভেচ্ছাদূত হিসেবে তিনি আশার, শান্তির এবং মানুষের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দিতে চান।
ঘানিম তার পরিবারের সাহায্যে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গঠন করেছেন। তার মতো যারা পায়ে চলাচল করতে পারেন না, সংস্থাটি থেকে তাদেরকে হুইলচেয়ার উপহার দেয়া হয়। মানবদরদি কাজের জন্য তিনি সারা পৃথিবীতেই পরিচিত। ২০১৪ সালে কুয়েতের আমি শেখ শাবাহ আল আহমদে আল শাবাহ তাকে ‘শান্তির দূত’ নামে অভিহিত করেন।
ফুটবল ঘানিমের পছন্দের খেলা। স্কুলজীবন থেকেই হাতে ভর দিয়ে বিশেষভাবে ফুটবল খেলে আসছেন তিনি। তার ইচ্ছে প্যারালিম্পিয়ানে খেলা। সে লক্ষ্য নিয়ে তিনি ফুটবল খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিএনএ/এ আর