বিএনএ ঢাকা: দেশের রফতানি বাণিজ্য গতিশীল করতে বিভিন্ন ধরনের মেলা আয়োজনের বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। দেশের অর্থনীতি রক্ষা,রপ্তানি সম্প্রসারণসহ বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার এক লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নসহ নানা কার্যক্রম করেছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’র (বিবিসিএফইসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রতি বছর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলাসহ নানা পণ্য ও সেবাখাত থেকে দেশি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মেলা আয়োজন করে থাকে। এর একটি স্থায়ী অবকাঠামো না থাকায় এসব মেলা আয়োজন করা কঠিন ছিলো। উন্মুক্ত স্থানে প্রতি বছর বাণিজ্যমেলা আয়োজনের কারণে অনেক অর্থের অপচয় হতো। এই অবস্থা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী একটি স্থায়ী কমপ্লেক্স সেন্টার নির্মাণ করতে ২০১৫ সালে পূর্বাচল নতুন শহরে ২০ একর ও পরবর্তী পর্যায়ে আরও ছয় একর জমি বরাদ্দ দেন বলে জানান তিনি।
টিপু মুনশি বলেন, চীন সরকারের সহায়তায় আন্তর্জাতিক মানসম্মত দৃষ্টিনন্দন ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’র নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে। যা করোনা’র সময় একটি দুরূহ কাজ ছিলো, তারপরও সেটি সম্ভব হয়েছে। পণ্য পরিচিতি ও বহুমুখী করতে নতুন নতুন বাজার খুঁজে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ব্যাপক পণ্যমেলার আয়োজন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় যোগদানে রপ্তানিকারকদের সহায়তা, বিভিন্ন রপ্তানি পণ্যে আর্থিক সহায়তা দেয়ায় দেশের রপ্তানি উত্তরোত্তর বাড়ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল সাড়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরে সেবাখাত থেকে মোট ৫১ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তা অর্জন করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি