28 C
আবহাওয়া
১:৫০ অপরাহ্ণ - সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ভারতের বিদ্যুৎ বিল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার

ভারতের বিদ্যুৎ বিল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার

সিলেটে শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

বিএনএ ডেস্ক: বাংলাদেশের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিল হিসেবে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি পায় ভারতের বিভিন্ন কোম্পানি। কিন্তু ডলারের সংকটে এখন বিল শোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

নথির তথ্য ও কয়েকটি সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় কোম্পানিগুলো ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি যে বকেয়া পাবে সেটি দেওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। কিন্তু বকেয়া পরিশোধের জন্য যে ডলার প্রয়োজন সেটি যোগাড় করা যাচ্ছে না। ২০২২ সালে যখন ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জ্বালানি এবং মালপত্রের দাম বৃদ্ধি পায়। ওই সময় থেকেই বাংলাদেশ আর বিল দিতে পারছিল না। জুলাই ও আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হয়েছে তার কারণে এই সমস্যা আরও তীব্র হয়েছে।

সমস্যা সমাধান ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ঘাটতি মেটাতে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ এখন জরুরিভিত্তিতে ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা চাইছে। গত বছর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার চেয়েছিল ঢাকা।

বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন কর্মকর্তা শুক্রবার রয়টার্সকে বলেছেন, বকেয়া অর্থ পরিশোধের প্রচেষ্টা চলছে, কিন্তু বর্তমান ডলার সংকট প্রক্রিয়াটিকে উল্লেখযোগ্যভাবে জটিল করে তুলছে।

ভারতীয় কোম্পানিগুলো ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি যে অর্থ পাবে তার মধ্যে আদানি পাওয়ার একাই পাবে ৮০ কোটি ডলার। এ নিয়ে কোম্পানিটির কোনো বক্তব্য পায়নি রয়টার্স।

বিদ্যুৎ সরবরাহকারী অপর দুই প্রতিষ্ঠান পিটিসি ইন্ডিয়া এবং এসইআইএল ইন্ডিয়া লিমিটেড বিপিডিবির কাছে যথাক্রমে ৯ কোটি এবং ১৯ কোটি ডলারে বকেয়া বিল চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। রয়টার্স এ সংক্রান্ত নথি পেয়েছে।

এসইআইএলের একজন মুখপাত্র বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল উল্লেখ করে বলেন, পাওনার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।

এই দুটি কোম্পানির কাছে বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ৭ কোটি ডলারের ব্যাংক গ্যারান্টি রয়েছে। যদি দ্রুত বাংলাদেশ এসব অর্থ পরিশোধ না করে তাহলে তারা ব্যাংক গ্যারান্টিগুলো নগদ অর্থে ভাঙিয়ে নিতে পারে।

এ পরিস্থিতিতে রুপালি ব্যাংককে ২৭ কোটি ডলার যোগাড়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

পিটিসি ইন্ডিয়া চুক্তির শর্তাবলীর সুনির্দিষ্ট বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এদিকে রুপালি ব্যাংকের কাছ থেকেও ছুটির দিন থাকায় মন্তব্য নিতে পারেনি রয়টার্স।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ