বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে(মিয়ানমার) উত্তেজনাকর পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালেও সীমান্তে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।
প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, সীমান্ত ঘেষে মিয়ানমারের সশস্ত্র সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল, হাত বোমা নিক্ষেপ এবং গুলিবর্ষনের ঘটনায় দু দেশের সীমান্তের শূণ্য রেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গারা জীবন নিয়ে চরম আতঙ্কে পড়েছে।
গত এক মাসের বেশি সময় ধরে শূন্যরেখার কাঁটাতার ঘেঁষে বেড়েছে মিয়ানমার সেনাদের অবস্থান, বাড়িয়েছে ক্যাম্পও। আর প্রতিদিনই চলছে গোলাগুলি ও মর্টারের গোলার বিকট শব্দ। এরই মধ্যে গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমার সেনাদের ছোড়া গোলার আঘাতে মারা যান শূন্যরেখায় বসবাস করা এক রোহিঙ্গা আর আহত হন ৫ জন।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে মর্টারশেল, গোলাগুলিসহ নানা ভারী অস্ত্রের আওয়াজে এপারের ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু ও বাইশফাঁড়ি এলাকার ২৪ হাজার মানুষ চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
দুদেশের শূণ্য রেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গারা জানান, ‘মিয়ানমার সেনারা তাদের তাড়াতে গুলি করছে, আমরা যাতে শূন্যরেখা থেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ি। এদিক-ওদিক গুলি করছে, বোমা ফাটাচ্ছে।’ তারা বলেন, আমরা বাংলাদেশে কেন ,বিশ্বের কোন দেশে যেতে চাই না। নাগরিক হিসেবে মিয়ানমারে বসবাস করতে চাই।
বিএনএনিউজ২৪,জিএন