21 C
আবহাওয়া
৮:২৪ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » নিস্তেজ অবস্থায়ও চলছে ঢাবি শিক্ষার্থী অনশন

নিস্তেজ অবস্থায়ও চলছে ঢাবি শিক্ষার্থী অনশন

ঢাবি শিক্ষার্থী অনশন

বিএনএ ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হয়রানি বন্ধ ও ৮ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসে প্রথমদিনেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহ। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অনশন শুরু করেন তিনি।

হাসনাতের সাথে সংহতি প্রকাশ করা আরেক শিক্ষার্থী হাসিব আল আমিন মঙ্গলবার রাতে জানান, হাসনাতের শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো না। তিনি কিডনি ও ইউরেন ইনফেকশনসহ শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। এখন তিনি  ক্লান্ত, নিস্তেজ হয়ে পড়ছেন। উঠতে পারছেন না পাশাপাশি ঠিকভাবে কথা বলতে পারছেন না। এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ দেখা করতে যান নি বলেও জানান আল আমিন।

উপাচার্যের অসহযোগিতামূলক আচরণ বন্ধসহ আট দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। বলেন, উপাচার্য যদি দাবি পূরণের কোনো উদ্যোগ নেয় বা কোনো কমিটি গঠন করে দেয় তাহলে যেকোনো সময় অনশন ভাঙার কথা জানান তিনি। এই অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

গত ৩০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনে আট দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন হাসনাত। সেসময় তিনি উপাচার্যকে স্মারকলিপি ও দাবি পূরণে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন তিনি। দাবি পূরণ না হওয়ায় ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ফের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তিনি।

রেজিস্ট্রার ভবনের অনিয়ম বন্ধে হাসনাতের ৮ দফা

১। শিক্ষার্থীদের হয়রানি নিরসনের জন্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অভিযোগ সেল গঠন করতে হবে। যেখানে সেবাগ্রহীতারা সুনির্দিষ্ট প্রমাণাদির ভিত্তিতে অভিযোগ জানাতে পারবেন।

২। প্রশাসনিক সব কার্যক্রম অনতিবিলম্বে ডিজিটাইজড করতে হবে।

৩। নিরাপত্তা ও হারিয়ে যাওয়া কাগজপত্র তদন্তের স্বার্থে অফিসগুলোর অভ্যন্তরে প্রতিটি রুমে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।

৪। প্রশাসনিক ভবনে অফিসগুলোর প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন করতে হবে। ডিসপ্লেতে অফিসগুলোর নাম, কক্ষ নম্বর ও সেখানে প্রদত্ত সেবার বিবরণী, কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নাম ও ছবিসহ প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদর্শন করতে হবে।

৫। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনিক ভবনের ক্যান্টিনেরও সংস্কার করতে হবে।

৬। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক সাচিবিক বিদ্যা, পেশাদারিত্ব, মানুষিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ আইন করে বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত মানসিক সেবা প্রদানকারী বিভাগ ও সেন্টারগুলোর শরণাপন্ন হতে হবে।

৭। অফিস চলাকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক কিংবা রাজনৈতিক কোনো কাজেই লিপ্ত থাকতে পারবে না। সে নিরিখে প্রশাসনিক ভবনের অভ্যন্তরে অবস্থিত কর্মচারী ইউনিয়ন অফিস বাধ্যতামূলকভাবে তাদের ক্লাবগুলোতে স্থানান্তর নিশ্চিত করতে হবে।

৮। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনকালীন প্রচারণা পরিবেশ বান্ধব করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা পরিবেশ বজায় রাখতে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য হানিকর ও পরিবেশ বিপর্যয়কারী অপ্রয়োজনীয় পোস্টার লিফলেট ও ব্যানার ব্যবহার আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে।

বিএনএ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ