বিএনএ ঢাকা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে গুলশান (৩৩) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছেন। তিনি উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বলিবাড়ি গ্রামের ইতালি প্রবাসী আলাল উদ্দিনের স্ত্রী। এ ব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার ১৫৪ দিনেও তার সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টানা ১০ বছর স্বামী ইতালিতে থাকায় গৃহবধূ গুলশান দুই সন্তান নিয়ে বিটঘর গ্রামে বাবার বাড়িতেই থাকতেন। গত ২১ এপ্রিল বিটঘর গ্রাম থেকে নিখোঁজ হন তিনি। এ ঘটনায় পরদিন ২২ এপ্রিল সরাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন গুলশানের বাবা জাহাঙ্গীর মিয়া।
জাহাঙ্গীর মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মেয়ে তার নিখোঁজ হয়েছে ১৫৪ দিন অতিক্রম করেছে। অথচ পুলিশ তার মেয়ের সন্ধান দিতে পারছে না।
তিনি দাবি করেন, ২১ এপ্রিল আশুগঞ্জ উপজেলায় গিয়ে ইসলামী ব্যাংক থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে বিটঘর গ্রামে ফেরার পথে গুলশানকে অপহরণ করেন তার প্রবাসী স্বামী আলাল উদ্দিনের ভাই এবং এক ভাতিজা।
প্রবাসী আলাল উদ্দিনের বড় ভাই হারিছ চৌধুরী জানান, তার ছোট ভাই আলাল ১০ বছর যাবৎ ইতালিতে আছেন। এই সময়ের মধ্যে ইতালি থেকে আলাল স্ত্রী গুলশানের ব্যাংক হিসাবে ১২ লাখ এবং শ্বশুর জাহাঙ্গীর মিয়ার ব্যাংক হিসাবে ৭৯ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন। ক’মাস আগে আলাল উদ্দিন দেশে ফেরার খবর পাঠান। আর ওই ৯১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে জাহাঙ্গীর মিয়া তার মেয়ে নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছেন এবং মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, গৃহবধূ গুলশানকে উদ্ধারে ইতোমধ্যে একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তবে গুলশানের বাবা এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে খুঁজে বের করতে পুলিশকে সহযোগিতা করছেনা। বরং তারা নিজেরা একে অপরের বিরুদ্ধে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়িতে ব্যস্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে,গৃহবধূ গুলশান নিখোঁজের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। তার শ্বশুরবাড়ি এবং বাবার বাড়ির লোকজনের মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা চলছে। দু’পক্ষই একে অপরের ওপর অভিযোগ আনছে ‘গুলশানকে অপহরণের পর হত্যা করে মরদেহ গুম করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/গোলাম সারোয়ার,আরকেসি