25 C
আবহাওয়া
২:২১ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীর ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি

টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীর ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি

noakhali

বিএনএ ডেস্ক: টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ। এতে পানিতে তলিয়ে গেছে নোয়াখালী জেলা শহরসহ আট উপজেলার অসংখ্য বসতঘর, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কমপক্ষে ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে তাদের মধ্যে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল দিনেও বৃষ্টি হয়েছে।বৃষ্টিতে নোয়াখালী সার্কিট হাউস, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা ও দায়রা জজ, সিভিল সার্জনের বাসভবন, নোয়াখালী জেনারেল হসপিটাল ও হাউজিং এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। জেলা সদর, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, বেগমগঞ্জ, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর উপজেলার বেশির ভাগ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিতে ডুবে গেছে আমন ধানের বীজতলা, শাকসবজি। ডুবে গেছে সড়ক। বাসাবাড়িতে ঢুকছে পানি।
জেলা শহরের সব রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেকের বাসার ভেতরে পানি থই থই করছে।

সদর উপজেলার পশ্চিম চর উড়িয়ার বাসিন্দা রেজাউল হক জানান, তার বাড়ির চারপাশে পানি উছে গেছে। রান্নাঘরে ঢুকেছে পানি। চলাচলের রাস্তাও ডুবে গেছে। বাড়ির কেউই ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন বলেন, রাস্তাঘাট ডুবে এখন মানুষের বসতঘরে পানি ঢুকে গেছে। মাছের ঘেরসহ সব ভেসে গেছে। তিনি বলেন, ‘এত পানি আগে দেখিনি। বৃষ্টি হলে পানি নেমে যায়; কিন্তু এবার পানি নামছে না।’

এই জলাবদ্ধতার কারণ, বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছের ঘের করেছে প্রভাবশালীরা। খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। কোথাও কোথাও খাল দখল করে বাড়িঘরও নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে পানি নামছে না বলে মন্তব্য করেছেন কবিরহাট উপজেলার বাসিন্দা রুবেল। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী এসব অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়ে খাল পরিষ্কার করে দিলে জলাবদ্ধতা থাকবে না।

সুর্বণচরের বেশির ভাগ এলাকার কৃষিজমি তলিয়ে গেছে জানিয়ে সুবর্ণচর উপজেলার হারিচ চৌধুরী এলাকার বাসিন্দা ফারজানা আক্তার বলেন, বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষক হাত গুটিয়ে বসে আছেন।

নোয়াখালীর আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে। যেহেতু সতর্ক সংকেত চলছে, তাই জেলেদের তীরবর্তী স্থানে থাকতে বলা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল বলেন, নোয়াখালীতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, যা বিগত ২০ বছরেও হয়নি। এ ছাড়া জোয়ার থাকায় পানি নামতে পারছে না। তিনি বলেন, ‘আমরা জলাবদ্ধতা রোধ প্রকল্পে শহর ও আশপাশের ১৬১ কিলোমিটার খাল খনন করেছি। এতে করে সব উপজেলায় পানি নিষ্কাশন হওয়ার কথা। তা ছাড়া পুরোপুরি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে ড্রেন ও নালা রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন।’

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য উপজেলা পর্যায়ের সব মাধ্যমিক, প্রাথমিক প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসাসহ অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। তিনি জানান, পানিবন্দি মানুষের জন্য নগদ ৮ লাখ টাকা ও ৯৫ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও দেওয়া হবে।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ