বিএনএ ডেস্ক: চট্টগ্রামে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে পেঁয়াজ সিন্ডিকেট। পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের শুল্ক আরোপের আদেশ জারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন আড়তদাররা। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ টাকা পর্যন্ত। খুচরা দোকানে এক দিন আগেও যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকার মধ্যে, সেই পেঁয়াজের দাম রাতারাতি হয়ে গেছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনেক আড়তদার বেশি লাভের আশায় পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। ফলে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে।
পেঁয়াজের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে গিয়ে দেখা যায়, সব আড়তেই পেঁয়াজের মজুত পর্যাপ্ত। তবে অনেক আড়তের দোকানই বন্ধ। খোলা আড়তগুলো থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছিল, খুচরা বাজারে যা ৭০ টাকা। অথচ এক দিন আগেও পাইকারিতে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ।
মেসার্স গনি মিয়া আড়তের ম্যানেজার জানান, স্থলবন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন। বেপারিরা সেখান থেকে খাতুনগঞ্জের আড়তে আনেন বা পৌঁছে দেন। তাদের নির্ধারিত দামে কমিশনের ভিত্তিতে আড়তে পেঁয়াজ বিক্রি হয়। তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, মানভেদে ভারতের পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শনিবার এসব পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কেজি ৪৫ টাকা।
নতুন শুল্কহারযুক্ত ভারতের পেঁয়াজ চট্টগ্রাম আসার আগেই দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে একজন আড়তদার বলেন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। প্রতি বস্তায় অনেক পচা-গলা পেঁয়াজ থাকে। হিলিতে দাম বাড়ায় আড়তেও দাম বেড়েছে।
পাইকারি বাজারের প্রভাব স্বভাবিকভাবেই গিয়ে পড়েছে খুচরা বাজারে। মোমিন সড়কের মেসার্স হক স্টোরে প্রতি কেজি বড় ও ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৭০ টাকায়।
মুদি দোকানি সিরাজুল ইসমাম বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে খাতুনগঞ্জে আসি পাইকারি দরে পেঁয়াজ কিনতে। পেঁয়াজের দাম রাতারাতি বেড়েছে। খুচরায় রেগুলার কাস্টমারকে বুঝ দিতেই ৫৮ টাকায় কিনলাম। ৬৫ টাকা পড়তা পড়বে।’
একাধিক সূত্র বলছে, চট্টগ্রামে ১০ ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও সেই সিন্ডিকেট পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তবে সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব অস্বীকার করছেন চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা আমদানিকারকদের মালামাল আড়তে রাখি। দাম বাড়ানো-কমানো আমাদের হাতে নেই। আমদানিকারকরা যে দামে বলেন, সে দামেই বিক্রি করি। সিন্ডিকেট বলতে কিছু নেই। এখন ওপেন মার্কেট। যে কেউ আমদানি করতে পারেন।’
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ